বিক্রম রায়, কোচবিহার: বিজেপি বিএলএকে মারধর করে জুতোর মালা পরানোর অভিযোগ। নিমেষে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। SIR আবহে কোচবিহারের মাথাভাঙার ছাট খাটেরবাড়িতে ব্যাপক উত্তেজনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর দড়ি টানাটানি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্টকে ২ (বিএলএ) কোচবিহারের মাথাভাঙার ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায় যান। সেই সময় ওই এলাকায় ছিলেন তৃণমূলের বিএলএ ২। জানা গিয়েছে, বিজেপির বিএলএ ২ সেখানে পৌঁছনোমাত্রই উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, তাঁকে জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। নিমেষে হেনস্তার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর উত্তেজনা। মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, “ছাব্বিশে মানুষ জেতাবে বিজেপিকে। তৃণমূল হারার ভয় পাচ্ছে। তাই বিজেপির বিএলএ, সুকান্ত মজুমদার আক্রমণ করা হচ্ছে। বিজেপির নেতানেত্রীদের মারধর করছে। এসআইআর বিজেপি করছে, এরকম একটা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।” যদিও কোচবিহারের জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই দাবি করেন। তিনি বলেন, “গিরীন্দ্রনাথ বর্মন শুনেছি ঘটনাটি শুনিনি। দলীয়ভাবে খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রশাসনিক ব্যাপার প্রশাসন দেখবে। তবে এখানে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
বলে রাখা ভালো, রাজ্য জুড়ে জোরকদমে চলছে এসআইআরের কাজ। এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপের কাজ চলবে আগামী একমাস অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই একমাসের মধ্যে ওই ফর্মপূরণের কাজ হবে। তার ভিত্তিতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। আর তারপর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে।