• জীবনকৃষ্ণের ‘মাথা’ খুঁজছে ইডি! বড়ঞার বিধায়কের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত
    প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: ফের খারিজ হয়ে গেল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের জামিনের আবেদন। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণ সাহার জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। আজ বৃহস্পতিবার বিধায়কের জামিন মামলার শুনানি ছিল বিচারভবনের ইডির বিশেষ আদালতে। সেই শুনানিতে এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সওয়ালে তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা কোন মাথার কাছে? তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুধু জীবনকৃষ্ণ সাহাই নয়, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট থেকেও উদ্ধার হওয়া টাকা কার কাছে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বছর দুই আগে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর চলতি বছরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। কয়েক মাসের ব্যবধানে গত আগস্ট মাসে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে জেলেই রয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন আগেই ইডির মামলায় জামিনের জন্য বিশেষ আদালতে আবেদন জানান জীবনকৃষ্ণ। আজ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়।

    শুনানিতে জীবনের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে ইডির আরও দাবি, ধৃত বিধায়কের দেওয়া বয়ান, প্রার্থীদের বয়ান দেখে আমরা কোরোবোরেট করতে পেরেছি যে কত টাকা জীবনকৃষ্ণ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। শুধু তাই নয়, কোথা থেকে সেই টাকা ঢুকেছে তাও কার্যত স্পষ্ট বলে এদিন আদালতে জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    দীর্ঘ সওয়াল জবাবে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবীর কাছে বিচারক জানতে চান, আপনার মক্কেল যে ক্রাইম করেছে সেটা কিন্তু দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিচারকের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, ২৫ হাজারের জীবন নষ্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে বিধায়কের আইনজীবী জানান, গ্রেফতারের আগে এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আইনজীবীর কথায়, কোনও ডিসকভারি অফ ফ্যাক্ট হয়নি। এমনকী চার্জশিট হয়ে যাওয়ার পরেও আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী। ফলে যে কোনও শর্তে জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিন মঞ্জুর করার আবেদন জানান। যদিও এদিন ফের খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদন। 

    বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে শুনানিতে আইনজীবী মারফৎ ইডি আদালতে জানায়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজার থেকে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। যার মধ্যে বিধায়কের স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা এবং বাকি ২০ লক্ষ টাকা বাবার অ্যাকাউন্টে জীবনকৃষ্ণ পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)