জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্য সংগীতই এবার প্রার্থনা সংগীত! রাজ্য সমস্ত সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে সকালের প্রার্থনায় গাইতে হবে 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
১৯০৫ সাল। বঙ্গবঙ্গের বিরোধিতায় 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' গানটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ২০২৩ সালে এই গানটিকে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য় সংগীতের স্বীকৃতি দেয় সরকার। প্রস্তাব পাস হয়ে যায় বিধানসভায়। যদিও এই নিয়ে বিতর্কও দানা বাঁধে। কারণ, প্রকাশ্য জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা' অংশটি বদলে 'বাংলার পণ, বাংলার আশা, বাংলার কাজ, বাংলার ভাষা' করে দেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা জারি করে জানান, রাজ্য সংগীত হিসাবে গাওয়া হবে নির্দিষ্ট একটি অংশ, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল — পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন — এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান'। রাজ্য সঙ্গীত সম্পূর্ণ হতে হবে এক মিনিটের মধ্যে।
এ বার নয়া নির্দেশিকায় সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সকালের প্রার্থনায় রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এ বার থেকে স্কুলগুলিতে প্রার্থনাসভায় এই গান বাধ্যতামূলক'।