সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিল গুজরাট হাই কোর্ট। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ২০১৩ সালের এক ধর্ষণের মামলায় এই জামিন দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাজস্থান হাই কোর্টও শারীরিক দিক বিবেচনা করেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল।
এদিন বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা ও বিচারপতি আর টি ভাছানির বেঞ্চ জানিয়েছে, মেডিক্যাল দিকটি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর যাবজ্জীবনের সাজা একই ভাবে বহাল থাকছে এবং তা বলবৎ হবে। আসারাম বাপুর আইনজীবী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত এদিন বলেন যে, তাঁর মক্কেল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম, রক্তাল্পতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে ভুগছেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা জেলে মেলে না। সেপ্টেম্বরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয় স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে। মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসসি ও মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।
এর প্রতিবাদ করে সরকারী আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, আসারামের চিকিৎসাই যদি বিবেচ্য হয়, সেক্ষেত্রে যোধপুর জেল থেকে তাঁকে সাবরমতী জেলে পাঠানো হোক। সেখানে এই সুবিধা লভ্য। এও বলা হয় আসারামের শারীরিক অবস্থা মোটেই গুরুতর নয়। এরপর উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, ৬ মাসের জন্য জামিন দেওয়া হল আসারামকে।