সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘হাইড্রোজেন বোমা’ নিয়ে চর্চার মধ্যেই ফের বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। বছরের গোড়ায় দিল্লিতে ভোট দেওয়ার পর নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে দেখা যাচ্ছে একই বিজেপি নেতাদের, অভিযোগ তেমনই। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন যে, রাকেশ সিনহা নামের এক বিজেপি নেতা গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ভোট দেন। বৃহস্পতিবারও তাঁকে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তিনি দু’টি আলাদা ছবিও শেয়ার করেছেন তাঁর ভোট দেওয়ার।
এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন রাকেশ। তাঁর দাবি, তিনি দিল্লিতে যখন ভোট দিয়েছিলেন, তখন তিনি সেখানকারই ভোটার ছিলেন। কিন্তু মাঝের সময় তিনি বিহারের ভোটার হিসেবেই নাম পরিবর্তিত করে নিয়েছেন। এমন অভিযোগ আনার জন্য মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ থাকা রাকেশ। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ”আপ, কংগ্রেস ও তাদের সঙ্গী দলগুলির মিথ্যেবাদী ও অনৈতিক নেতারা আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অনৈতিক অভিযোগ এনেছেন। আমার নাম কেবলমাত্র বিহারের ভোটার তালিকাতেই রয়েছে। এর আগে দিল্লির ভোটার তালিকায় নাম ছিল ঠিকই। কিন্তু আমি আইনের পদ্ধতি অনুসরণ করেই তা সরিয়েও দিয়েছি।”
এদিকে অভিযোগ কেবলমাত্রা রাকেশের বিরুদ্ধেই নয়। বিজেপির দিল্লি পূর্বাচল মোর্চার সভাপতি সন্তোষ ওঝা ও দলীয় কর্মী নগেন্দ্র কুমারকেও দিল্লির পরে বিহারেও ভোট দিতে দেখা গিয়েছে বলেও দাবি বিরোধীদের।
প্রসঙ্গত, গতকালই লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা সাংসদ রাহুল গান্ধী বুধবার অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাপক ভোটচুরি হয়েছে। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সময়ই তিনি দাবি করেন, ব্রাজিলের এক মডেলের ছবি ভোটার তালিকায় মোট ২২টি নামের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। তারপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া অভিযোগ ঘিরে শোরগোল আরও তীব্র আকার ধারণ করল।