রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: এসআইআর আবহে উত্তপ্তও হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু এর মাঝেই এক টুকরো ভালো খবর। দীর্ঘদিন পর ফটো স্টুডিও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি। ক্যামেরা পরিষ্কার করে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ফটোগ্রাফাররা। এসআইআরের ফর্ম পূরণ করতে দরকার পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এরজন্য নামকরা স্টুডিওর পাশাপাশি ধুকতে থাকা স্টুডিওগুলিতেও ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন ভোটাররা। কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখছেন স্টুডিওর মালিকরা।
মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। প্রত্যেক এলাকার বুথ লেভেল অফিসার অর্থাৎ বিএলও -রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক ভোটারকে আবেদন পত্র দিয়ে আসছেন। এরপরেই শুরু হচ্ছে ফর্ম পূরণের কাজ। ইতিমধ্যেই অনেকে সেই কাজ করেও ফেলেছেন। তবে সেই আবেদনপত্রের জন্য প্রয়োজন সেই ভোটারের ছবি। নতুন তোলা ছবি ফর্মের সঙ্গে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক ভোটার পিছু দুটি করে আবেদন পত্র দেওয়া হচ্ছে। দু’টোতেই একটা করে ছবি লাগানো বাধ্যতামূলক। কাজেই সাম্প্রতিক সময়ের ছবি খুঁজতে সকলে পৌঁছে যাচ্ছে স্টুডিওতে। গত সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে এই ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা একই কাজ করছেন দোকান মালিকরা।
তেহট্ট এলাকার কয়েকজন বিএলও-র সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অনেকেই পুরানো ছবি কিংবা সেলফি আবেদনপত্রে ব্যবহার করছেন। এই পদ্ধতি সঠিক নয়। তাই নতুন ছবি তুলে ব্যবহার করতে জন্য বলা হয়েছে। এই কারণেও ভিড় জমেছে স্টুডিওগুলোতে।
তেহট্ট মহকুমার এলাকার স্টুডিওর মালিকরা বলেন, “টুকটাক কাজ হতো। তবে গত সোমবার থেকে শুধু পাসপোর্ট ছবি তোলার জন্য ভিড় হচ্ছে। ফলে বাড়ি যেতেই পারছি না। গত দু’দিনের অভিজ্ঞতা দেখে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসেছিলাম।” অন্যদিকে তেহট্টের এক দোকানদার জানিয়েছেন, স্টুডিও বন্ধই হয়ে যেতে বসেছিল। তবে এসআইআর শুরু হতেই দোকানে উপচে পড়েছে ভিড়। তাই ক্যামেরা ঝাড়ফুঁক করে পুরোদমে নেমে পড়েছি ফটো তুলতে।” তিনি আরও বলেন, ‘এই এক মাসে যা কাজ হবে তাতে সারাটা জীবন কাটবে না। এই কাজ শেষ হয়ে গেলে ফের একই অবস্থা হবে।’