• SIR আবহে হিন্দু শংসাপত্র নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট মতুয়ারা! ঠাকুরবাড়ির ক্যাম্পে উত্তেজনা
    প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: এসআইআর আবহে ঠাকুরবাড়িতে তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। হিন্দু শংসাপত্র বিলি নিয়ে চরম অসন্তোষ মতুয়া মহলে। অনেকেই ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে এসব সমস্যায় পড়ে বলছেন, ‘হিন্দু হওয়া সত্বেও ১০০ টাকা খরচ করে এদের থেকে হিন্দুর শংসাপত্র নিতে চাই না।’ এনিয়ে ঠাকুরবাড়ির বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বুধবার থেকে ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের অনশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল টিম গিয়ে সদস্যদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছেন। সকলেই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    বিগত কয়েকমাস ধরেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আলাদা আলাদা ক্যাম্প করে মতুয়া কার্ড ও হিন্দু শংসাপত্র বিলি করছে দুই ভাই শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরের শিবির। এরই মধ্যে গত বুধবার থেকে এসআইআরের বিরোধিতায় আমরণ অনশন শুরু করেছে তৃণমূল প্রভাবিত মমতাবালা ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। এর প্রভাব পড়েছে ক্যাম্প দুটিতে। বৃহস্পতিবার উলটো ছবি দেখা গেল। এদিন ক্যাম্প দুটিতে ভিড় তুলনামূলক কম ছিল। পাশাপাশি সেখানে আসা মতুয়াদের একটা বড় অংশই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিন্দু শংসাপত্র নিয়ে। তাঁদের একটাই বক্তব্য, হিন্দু হয়েও হিন্দুত্বের প্রমাণ দিতে কেন নিতে হবে শংসাপত্র?

    দত্তপুকুরের শ্রীকৃষ্ণনগর থেকে আসা পূর্ণিমা বিশ্বাসের চোখেমুখে ছিল অসন্তোষের ছাপ। শান্তনু ঠাকুরের কার্যালয়ের বারান্দায় বসে তিনি জানালেন, “মতুয়া কার্ড নিতে বুধবার এসেছিলাম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফিরতে হয়েছে। এদিন না দিলে কাউন্টারে যেই থাকুক না কেন, দু’কথা শুনিয়ে দেব। আমরা হিন্দু। তা সত্ত্বেও এদের থেকে হিন্দু শংসাপত্র নিয়ে হবে?” চাকদহ থেকে এসেছেন পরিমল হালদার সরাসরি বললেন, “হিন্দু হওয়া সত্বেও ১০০ টাকা খরচ করে হিন্দুর শংসাপত্র নিতে চাই না।”

    এদিকে, প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবীর মন্দিরের তৃণমূল প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের আমরণ অনশন দ্বিতীয় দিনে মেডিক্যাল টিম এসে অনশনে অংশগ্রহণকারী ২১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নরোত্তম বিশ্বাস জানিয়েছেন, “অনশনকারী সকলেই ভালো আছেন। এসআইআরের বিরুদ্ধে লাগাতার অনশন চলবে।” সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, “গর্তের ভিতর থেকে সাপ বেরিয়ে এসেছে। সত্যিটা সামনে চলে এসেছে। ২০০২ সালের পর ওপার বাংলা থেকে আসা মতুয়াদের ভোট নিয়েছে। আর এখন শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের বাংলাদেশি মুসলমান ও রোহিঙ্গা বলে এসআইআরে নাম বাদ দিতে চাইছে। এর প্রভাব তো পড়বেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)