• ‘বাচ্চা কার?’ জিজ্ঞাসা করতেই নবজাতককে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ছুট, মহিলাকে ধরে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা
    এই সময় | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ছেলেধরা সন্দেহে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধৃতের কাছ থেকে ১০-১২ দিনের এক নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাটের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌছন স্থানীয় কাউন্সিলর মহেশ পারখ। ধৃতের নাম, পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে গীতাঞ্জলি নারায়ণপুর নন্দস্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসেছিলেন এক মহিলা। তাঁর কোলে এক নবজাতককে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। মহিলা শিশুটিকে নিজের কন্যা বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু পরে দেখা যায় শিশুটি পুত্রসন্তান। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। অভিযোগ, অবস্থা বেগতিক দেখে নবজাতককে ছুড়ে ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন মহিলা। শিশুটির মাথায় চোট লাগে। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    ঘটনার সময়ে স্কুলের সামনেই ছিলেন রূপালি মুখোপাধ্যায় এবং জলি সাহা। তাঁরা বলেন, ‘একরত্তি শিশুটিকে ওই ভাবে ছুড়ে ফেলে দিলেন দেখে আমরা চমকে গিয়েছিলাম। তখনই বুঝে যাই, শিশুটিকে কোথাও থেকে চুরি করে নিয়ে এসেছে।’ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    বালুরঘাটেও এখন SIR-এর কাজ চলছে। খবর পেয়ে সব ফেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাউন্সিলর মহেশ পারখ। তিনি বলেন, ‘SIR-এর কাজ চলছিল। সেখানেই ছিলাম। খবর পাওয়া মাত্র চলে এসেছি। ধৃত এবং নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।’

    শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বালুরঘাট থানাও। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃত মহিলাকে এলাকার কেউ চেনেন না। তাই তিনি বাইরে থেকে এসেছিলেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)