নয়াদিল্লি ও পাটনা: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার দিনও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে ফের অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ তুলে আরজেডি-কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, অনুপ্রবেশকারী রক্ষা করতে তৎপর আরজেডি-কংগ্রেস। এরফলে বিহারের উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। পালটা ভোটচুরির প্রসঙ্গ টেনে মোদির দল বিজেপিকে নিশানা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। দাদার সুরে সুর মিলিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। রাহুলের দাবি, বিহারেও ভোটচুরির চেষ্টা করবে বিজেপি। তা রুখতে এগিয়ে আসতে হবে যুব সম্প্রদায়কে।
বৃহস্পতিবার আরারিয়া ও ভাগলপুরে জনসভায় মোদি বলেন, আরজেডি ‘জঙ্গলরাজে’র প্রতীক। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের দুর্বলতা রয়েছে। ভোটব্যাংকের জন্য তারা ভগবান রামকেও অপছন্দ করে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের অভিধানে স্বদেশি, আত্মনির্ভরতা বলে কিছু নেই। যখনই কংগ্রেস-আরজেডি ক্ষমতায় এসেছে, তারা ঘুরপথে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য রাস্তা খুলে দিয়েছে। ভোট ব্যাংকের জন্য তারা এই কাজ করে চলেছে। আর বৈধ নাগরিকের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। মানুষের ভোট অনুপ্রবেশকারীদের হটিয়ে দেবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা চাকরি দখল করে নিচ্ছে। এবারের বিধানসভা ভোট বিহারকে ‘অনুপ্রবেশকারী মুক্ত’ করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বিজেপি ভোটের প্রচারে অনুপ্রবেশের সমস্যাকে হাতিয়ার করেছে। কিন্তু বিহারে সাম্প্রতিক এসআইআরে কতজন অনুপ্রবেশকারীর হদিশ মিলেছে, তা নিয়ে কোনও সুষ্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও ভোটচুরি নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন রাহুল। পুর্ণিয়ায় জনসভায় তিনি বলেন, ‘কীভাবে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটচুরি করেছে, তা দেখিয়েছি। বিহারেও তারা একই কাজ করবে। এজন্য সংবিধান রক্ষায় যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’ রাহুলের অভিযোগ, যুবক-যুবতিদের হাতে কাজ নেই। কিন্তু, কোটিপতিদের জন্য দেশ শাসন করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, মোদি-শাহ জুটিই গোটা দেশে জঙ্গলরাজ চালাচ্ছেন। মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সুরে পশ্চিম চম্পারণের বাল্মিকী নগরের সভা থেকে মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তাঁর অভিযোগ, শাসক এনডিএ জোট সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এনডিএকে হারাতে হবে।