• তিহার জেলের ভিতরেই আইএসআইয়ের টার্গেট ছোটা রাজন-রানা! কড়া নিরাপত্তা
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: তিহার জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল সিগন্যাল জ্যামার। তিহার জেলে বিশেষ কিছু হাই প্রোফইল জোন আছে। কেন হাই প্রোফাইল? কারণ সেখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরের মাফিয়া, সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের অন্যতম দু’টি নাম—তাহাউর রানা এবং ছোটা রাজন। দিল্লির গ্যাংস্টার নীরজ বাওয়ানা অন্যতম আর এক অপরাধী। এর আগেও মে মাসে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ফের একবার ঠিক হয়েছে, নিরাপত্তা বলয় খতিয়ে দেখা হবে। বদলে ফেলা হতে পারে অপরাধীদের থাকার সেলও। একবার দীর্ঘদিন ধরে একই সেলে রাখা হলে কোন অপরাধী কোথায় আছে, সেটা জানা হয়ে যায় ‘বহিরাগতদের’। স্থির হয়েছে, সারপ্রাইজ সিকিওরিটি ড্রিল বাড়ানো হবে। অর্থাৎ হঠাৎ করে বিভিন্ন বারাক ও সেলে হানা দেবেন কারারক্ষীরা। বেশ কিছু এলাকায় দিনের বেলায় বন্দিদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। এসবেরই কারণ, ছোটা রাজনকে হত্যা করতে চায় দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং। তাহাউরের থেকে যাতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পায় তদন্তকারীরা, তাই তাকেও নিশানায় রেখেছে একাধারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি। কোন জঙ্গি সংগঠন? যারা মুম্বই হামলা সহ একাধিক জঙ্গি হামলায় যুক্ত ছিল। 

    গোয়েন্দা সূত্রে এই ইনপুট পেয়ে তিহার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। নতুন করে অপরাধ করে যে অপরাধীরা তিহারে চলে আসছে, তাদের দিকে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। কারণ ডি কোম্পানি ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের হাতে ছোটা রাজনকে হত্যার প্ল্যান করেছিল। যদিও ছোটা রাজন সাধারণ কোনও বন্দিদের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই নেই। তাকে সম্পূর্ণ পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। যখনই আদালতে হাজিরার নির্ধারিত দিন থাকে, সেই হাজিরা ও শুনানি পর্ব অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সেই হয়। যাতে জেল থেকে রাজনকে বাইরে নিয়ে যেতে না হয়। কারণ, আদালতে যাওয়ার পথে অপরাধীদের টার্গেট করার প্রবণতা বহু কালের পুরনো। রাজন অথবা দাউদ গ্যাং উভয়পক্ষই এই কাজ একাধিকবার করেছে তাদের প্রতিপক্ষকে খতম করার জন্য। এবার সঙ্গে রয়েছে আইএসআই। কারণ, তাহাউর রানা। ২৬/১১ হামলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ও সন্ত্রাসের সরাসরি চক্রান্তকারী। তাকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ এনআইএ, দিল্লি পুলিশ ও তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাকেও সরিয়ে দেওয়ার গোপন প্ল্যান আছে আইএসআই এবং সন্ত্রাসবাদীদের। সেই পরিকল্পনা কোনওভাবেই যাতে কার্যকর না হয়, সেই কারণেই তিহারকে আরও নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)