সংবাদদাতা, বারুইপুর: বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট সুরজিৎ বিশ্বাসের পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে চড় মারার অভিযোগ উঠল ওই বুথের বিএলও অঞ্জনা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরে সুরজিৎকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল পরিচালিত বেগমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রিয়া বর্মনের স্বামী চয়ন বর্মন ও তাঁর দলবল। শুধু তাই নয়, সুরজিৎকে বাঁচাতে আরেক বিজেপি কর্মী তাপস রায় এগিয়ে এলে তাঁরও মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের বেগমপুর পঞ্চায়েতের ২০০ কলোনি এলাকায়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন এসআইআর-এর দায়িত্বে থাকা বিএলও তথা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অঞ্জনা মণ্ডল। তিনি বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি কিছুই করিনি। এভআবে চললে বিএলও’র কাজ করব কীভাবে?
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বেগমপুর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী চয়ন বর্মন বলেন, বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমি সেই সময় ব্লক অফিসে ছিলাম। বিজেপি কর্মী সুরজিৎ উল্টে বিএলও’র চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বারুইপুরের বিজেপির নেতা গৌতম চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন, বারুইপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে। আহত দুই কর্মীকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এদিকে, আহত সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, প্রথম থেকেই আমাকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামতো পঞ্চায়েত থেকে ফর্ম বিলি করছিলেন অঞ্জনাদেবী। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে বাড়িতে দেখা করতে বলেন। এরপরে ফর্ম বিলি করতে যাওয়ার নাম করে আমার পরিচয়পত্র ছিঁড়ে সপাটে চড় মারেন গালে। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী চয়ন বর্মন দলবল নিয়ে এসে মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে দলীয় কর্মী তাপস রায় এলে তাঁকেও মারা হয়। বারুইপুর থানার পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।