বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভায় ১৬ জন বিএলও’র বিরুদ্ধে নালিশ তৃণমূলের
বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: রাজ্যে এসআইআরের ইনিউমারেশন ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভায় ১৬ জন বিএলও’র বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, এই সব বিএলও’রা বিজেপি ও সিপিএমের হয়ে এলাকায় সক্রিয় নেতৃত্ব দেন। ফলে কাজে তার প্রভাব পড়বে। বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম দাস বলেন, অবিলম্বে এই ১৬ জন বিএলওকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গৌতমবাবু আরও অভিযোগ করেছেন, বারুইপুরের অনেক জায়গায় স্কুলে শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বিএলও’র কাজে নিযুক্ত করা হয়নি। উল্টে এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিএলও’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে, বারুইপুর ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও’রা ফর্ম বিলি নিয়ে তিতিবিরক্ত। তাঁদের অভিযোগ, কাজ শুরুর দিন ১০টি ফর্ম দেওয়া হয়েছিল বারুইপুর ব্লক থেকে। এরপরে ৫০টি করে ফর্ম বিএলও’দের দেওয়া হলেও তা অনেকে পাননি। এত দেরি করে ফর্ম হাতে পাওয়ায় কাজে অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের। অনেক বিএলও অভিযোগ করেছেন, এসআইআরের কাজ শুরু হলেও অনেকে পরিচয়পত্র পাননি এখনও। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত এলাকায় কাজে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়ে গাড়ি ভাড়াও বেশি পড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। তাঁদের দাবি, একসঙ্গে সব ফর্ম তাঁদের দিয়ে দেওয়া হোক। যদিও এসআইআর কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত বারুইপুর ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বৃহস্পতিবার বারুইপুর পুরসভা, মদারাট, কল্যাণপুর, হরিহরপুর, মল্লিকপুর পঞ্চায়েত এলাকায় সব ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি পঞ্চায়েতগুলিতেও দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরিচয়পত্র সবাইকে দেওয়ার পর কাজে বেরনোর সময় তা ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিন জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের গড়দেওয়ানি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের এসআইআর সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান বিএলও-১ তথা সাংসদ বাপি হালদার। তিনি নিজে ক্যাম্পে বসে ফর্ম পূরণ করে দেন।