• স্কুলে বসে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির অভিযোগ, সাঁকরাইল-জগৎবল্লভপুর-পানিহাটিতে চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া ও বরানগর: বাড়ি বাড়ি না গিয়ে স্কুলে বসে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠল। যদিও বিএলওরা তা অস্বীকার করেছেন। প্রথম ঘটনাটি হাওড়ার সাঁকরাইল ও জগৎবল্লভপুরে। দ্বিতীয়টি পানিহাটির।    

    সাঁকরাইল স্কুলে ফর্ম বিলির অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন  বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ব্যাহত হয় পঠনপাঠন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও স্কুল থেকে ফর্ম বিলির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট বিএলওরা। দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভার ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ বুথের বিএলও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় হাজি আকবর আলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। স্কুল ছুটির আগে তাঁরা স্কুলে বসে ফর্ম গোছাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক স্কুলে ঢুকে চিৎকার শুরু করে। হট্টগোলে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল কাওসার বলেন, ‘বিএলওরা স্কুল থেকেই ফর্ম দিয়ে দিচ্ছেন।’ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাজিরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পূজা মান্না নামের এক বিএলও বলেন, ‘দু’দিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছি। স্কুলে বসে ফর্ম বিলির প্রশ্নই আসে না।’ 

    পাশাপাশি, হাওড়া শহরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কোনা পেয়ারাবাগান এলাকায় রাস্তার ধারে বসে ফর্ম বিলির অভিযোগ ওঠে সেখানকার বিএলওর বিরুদ্ধে। জগৎবল্লভপুর বিধানসভার বাণীয়াড়া আহমেদ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২৯৯ এবং ৩০০ নম্বর বুথের ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিএলও বিমল মান্ডি ফর্ম বিলির কথা স্বীকার করেন। তাঁর যুক্তি, ‘পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। হাঁটাচলা করতে পারছি না।’ বিজেপি নেতা স্বপন বৈদ্য বলেন, ‘বিষয়টি কমিশনের নজরে আনা হবে।’

    পানিহাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্কুলে বসে ফর্ম বিলির অভিযোগ ওঠেছে। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। যদিও বিএলওর দাবি, স্কুলে বসে ফর্ম বিলি করলে দ্রুত কাজ হয়। তাই এভাবে ফর্ম বিলি করা হয়েছে। বিএলও পলাশ সরকার বলেন, এতে অন্যায়ের কি আছে? যেভাবে কাজ করলে সুবিধা হয়, তা করতে হবে। এতে কোনও অনিয়ম নেই।  পানিহাটির বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, দলীয় কর্মীদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। তারা যেভাবে ইচ্ছে সেইভাবে বিএলওকে পরিচালিত করছে। কাউকে ফর্ম দিচ্ছে, কাউকে দিচ্ছে না। প্রতিটি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করে ফর্ম বিলি করা হচ্ছে না। সিপিএম নেতা চারণ চক্রবর্তী বলেন, কমিশনের গাইডলাইন মেনে কাজ হচ্ছে না। কাউন্সিলার পূজা চৌধুরী বলেন, এমন ঘটনার কথা জানা নেই। অকারণে বিতর্ক করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)