• হরিদেবপুর এমজি রোডে গতির খেলা, লরির ধাক্কায় মৃত সাইকেল চালক
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সংস্কার হয়েছে হরিদেবপুরের মহাত্মা গান্ধী রোড। আগের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ চওড়া টালিগঞ্জ-ঠাকুরপুকুর সংযোগকারী রাস্তা। কিন্তু রাত বাড়লেই শুনশান রাস্তায় গাড়ি-বাইকের গতির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বুধবার রাতে সেই রাস্তাই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল। বেপরোয়া পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। তাঁর নাম সঞ্জয় বিশ্বাস (৩৯)। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সাইকেল চালককে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের অজেয় সংহতি ক্লাবের কাছেই থাকেন সঞ্জয়। বনমালী ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা তিনি। ঠাকুরপুকুরে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। উল্টোদিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসছিল একটি পণ্যবাহী গাড়ি। কেওড়াপুকুর বাজারের কাছে পণ্যবাহী গাড়িটি ধাক্কা মারে সাইকেলে। ছিটকে 

    পড়েন সঞ্জয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। কিছুটা পিছনেই ছিলেন আরও এক বাইকচালক। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ড ও হরিদেবপুর থানার পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমার্জেন্সিতেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় যুবককে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, কাজ সেরে প্রতিদিন রাতে ওই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফেরেন যুবক। এদিনও ফিরছিলেন তিনি। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সাইকেলটিকে ধাক্কা মারার পর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় পণ্যবাহী গাড়ি। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তে নেমেছে ট্রাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াড। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ফেরার পণ্যবাহী গাড়িটিকে নম্বরপ্লেট দেখে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তার মালিক ও চালককে থানায় খুব শীঘ্রই ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে পণ্যবাহী গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হতে পারে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হরিদেবপুরের মহাত্মা গান্ধী রোড রাতের বেলা স্পিড-স্ট্রিটে পরিণত হয়। লাগামহীন গতিতে মাটি কাঁপিয়ে এই রাস্তা দিয়ে ছোটে পণ্যবাহী গাড়িগুলি। একইসঙ্গে, সাইলেন্সার খোলা মোটরবাইকও অবাধে ছুটে বেড়ায় রাস্তায়। গতির উৎপাতে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।  এপ্রসঙ্গে, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, রাতের বেলা ওই রাস্তায় প্রায়ই নাকা চেকিং ও সারপ্রাইজ ভিজিট করেন উর্দিধারীরা। আগামী দিনে তা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান ওই পুলিশকর্তা। 
  • Link to this news (বর্তমান)