• বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই ভারতীয় নথি বাংলাদেশি মহিলার, বাতিল হল ভোটার কার্ড! উঠছে প্রশ্ন
    প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: বাংলাদেশের সিলেটের এক মহিলার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয়। এরপর বছর দু’য়েক আগে দিনহাটার ভেটাগুড়ি সিঙ্গিজানি গ্রামের রোহন খন্দকারের বিয়ে হয় নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে। বিয়ের সূত্রে দিনহাটায় এলেও বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশী মহিলার ভোটের কার্ড,আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স হয় বলে জানা গিয়েছে।

    গত বছর নভেম্বর মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই মহিলার কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। তথ্য দিতে না পারায় তাঁর ভোটার কার্ড বাতিল হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে এবং কাদের সাহাজ্যে ওই মহিলা সরকারি সব কার্ড হাতে পেলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এবং রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

    গত লোকসভা নির্বাচনে ওই মহিলা ভোট দিয়েছে বলেও এক সূত্রে জানা গিয়েছে। নিলুফার শ্বশুর লিয়াকত আলী খন্দকার বলেন, “বিয়ের পর আবেদন করায় ছেলের বউয়ের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যেই সেই ভোটার কার্ড আবার প্রশাসন বাতিল করে। সেই কাগজও আমাদের কাছে আছে। আমার বৌমা বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। আমরা এখান থেকে ছেলে-সহ তিনজন বাংলাদেশে গিয়ে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে।”

    ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রিয়াঙ্কা সরকার দে বলেন, “বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব। এই বিষয় নিয়ে কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।” তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি গৌতম দে বলেন, “সবাই জানে প্রধানের সার্টিফিকেট তুলতে গেলে গ্রাম পঞ্চায়েতের রেফারেন্স লাগে। সবকিছু ভেরিফাই করে তবেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ওই মহিলা বর্তমানে ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী দিনহাটায় রয়েছেন। এর বেশি কিছু আর জানা নেই।”

    বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, “এসআইআর শুরু হতেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। কারণ তৃণমূল নেতারা বুঝে গিয়েছে, ভুয়ো ভোটার বাদ পড়লে তাঁরা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর এসব ভুয়া ভোটার সব তৃণমূলেরই তৈরি করা। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” বিষয়টি নিয়ে ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, “আমি নতুন এসেছি। সবকিছু খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)