• লিন্টেল হয়নি, বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেলেন না ৩০ হাজার
    প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরও নির্দিষ্ট উচ্চতা বা লিন্টেল পর্যন্ত বাড়ির গাঁথনি ওঠেনি। তাই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেলেন না হাজার তিরিশেক উপভোক্তা। বাকি প্রায় ১১ লক্ষ ৭০ হাজার উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হবে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্ন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তাদের।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরই গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ দিতে রাজ্যের তরফে বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু হয়। এই প্রকল্পে দুই কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে উপভোক্তাকে। তবে প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর লিন্টেল পর্যন্ত গাঁথনি করার কথা উপভোক্তার। কিন্তু দেখা গিয়েছে এমন ৩০ হাজার মানুষ টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেননি। তাঁদের নানা জনের নানা সমস্যাও রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রে খবর, দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে টাকা পেয়েও সেই উপভোক্তা ধার-বাকি মিটিয়েছেন ওই টাকা দিয়ে। আবার অনেকে কাজ পেয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ফলে বাড়ি বানানো হয়নি। আবার অনেকের রয়েছে শরিকি ঝামেলা। তবে ১২ লক্ষের মধ্যে এই ৩০ হাজার মানুষের বাড়ি না বানানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ টাকা পেয়ে বাড়ি বানিয়েছেন। কিছু সংখ্যক মানুষের কিছু সমস্যা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলার ১২ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা। তার পর আবার ৬০ হাজার টাকা। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরে ফের ১৬ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেওয়া শুরু করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে তা নিয়ে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। কমপক্ষে ২৫ বর্গমিটার আয়তনের পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য। অর্থের পুরো অংশ রাজ্য সরকার বহন করবে। পাশাপাশি শৌচাগার, বিদ্যুৎ, পানীয় জলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে নিশ্চিত করা হবে।

    স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাও নিচ্ছে নবান্ন। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে যাচাই করছে বিশেষ টিম, যেখানে ব্লক ও জেলা পর্যায়ের আধিকারিকরা থাকছেন। সব তথ্য মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা হচ্ছে। জেলা ও ব্লক অফিসে অভিযোগ বাক্স রাখা হবে, অভিযোগ নিষ্পত্তি থাকছে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে। সব শেষে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রকাশ্যে আনা হবে এবং জেলা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)