প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশি চালিয়েও তাইল্যান্ড থেকে কলকাতায় পাচার হয়ে আসা বিরল প্রজাতির বানরের হদিস মিলল না। বিমানবন্দর চত্বরে প্রায় ৮০০ সিসি ক্যামেরা এবং কয়েক হাজার বিমানবন্দর কর্মীর নজর এড়িয়ে ওই বানরশাবক কোথায় গেল, তা খোঁজ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে রণে ভঙ্গ দিলেন বন দফতর, শুল্ক দফতর এবং বিমানবন্দরের কর্মীরা। গত সোমবার ভোরের দিকে শহরে আসা তাই এয়ারওয়েজের বিমানে (টিজি-৩১৩) এক যাত্রী ছোট ঝুড়িতে করে দু’টি বানরশাবক কলকাতায় পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। পূর্ব কম্বোডিয়া ও দক্ষিণ ভিয়েতনামে পাওয়া যায় ওই বানর। বিরল প্রজাতির ওই বানর বেচাকেনা কিংবা পাচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই যাত্রীকে আটক করেন। ঝুড়ি খুলে দু’টি বানরের শারীরিক অবস্থা যাচাই করার সময়ে একটি বানর আচমকা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বানরটিকে গত তিন দিন ধরে খোঁজা হলেও সন্ধান মেলেনি বলে খবর। বিরল প্রজাতির ওই বানরের মূল্য ১০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। প্রায় ২৫ লক্ষ বর্গফুটের বিমানবন্দরের টার্মিনাল ছাড়াও বাইরের এলাকাতেও তার খোঁজে তল্লাশি চলে।
বন বিভাগের একাধিক কর্তা জানান, জাল, বন্দুক, ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ মেলেনি। পরে বিমানবন্দর চত্বরের প্রায় ৮০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হয়। কিন্তু সেখানেও কিছু ধরা পড়েনি। অন্য বানরটিকে অবশ্য উদ্ধার করে তাইল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়। ভয় পেয়ে বিমানবন্দরের কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে ওই শাবক কিংবা বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। আপাতত খোঁজা বন্ধ হলেও নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।