• কেন আচমকা ইস্তফা দিলেন বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান?
    আজকাল | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ইস্তফা দিলেন বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান অশনী মুখার্জি। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শুক্রবারই তিনি উপ-পুরপ্রধানের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন তা নির্ধারণ করবে বোর্ড অফ কাউন্সিল। ইতিমধ্যেই বারাসত পুরসভায় এই বিষয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। 

    শুক্রবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে জানান বারাসতের সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি জানান, পুরপ্রধান অশনি মুখার্জি উপ-পুরপ্রধান তাপস দাসগুপ্তের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তিনি তা জেলাশাসকের কাছে পাঠাবেন। এরপর কে পুরপ্রধান পদে বসবেন, তিনি কবে শপথ নেবেন সেই বিষয়ে জেলাশাসক জানাবেন। এই মুহুর্তে পুরপ্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন। সেখানে যাকে পুরপ্রধান নির্বাচনের বিষয়ে সকলে ঐক্যমতে পৌঁছবেন তিনিই পরবর্তীতে বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান হবেন।

    দলীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জি নাম ফের ভেসে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, তিনিই আবার পুরপ্রধান হতে চলেছেন। যদিও এই বিষয়ে কাকলি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানান, আর কিছু সময়ের অপেক্ষা তারপরেই সকলে জানতে পারবেন।

    গতকালই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট ও গুসকরা পুরসভার নেতৃত্বে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কাটোয়া পুরসভার পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহাকে সরিয়ে নতুন পুরপ্রধান করা হয়েছে কমলাকান্ত চক্রবর্তীকে। উপপুরপ্রধান লক্ষিন্দর মণ্ডলের জায়গায় দায়িত্ব পাবেন ইউসুফা খাতুন।

    কালনা পুরসভার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তের স্থানে দায়িত্ব নিচ্ছেন রিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল পদে বহাল থাকছেন। গুসকরা পুরসভার উপপুরপ্রধান বেলি বেগমকে সরিয়ে সাধনা কোনারকে নতুন উপপুরপ্রধান করা হয়েছে। তবে পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায় পদে বহাল থাকছেন। দাঁইহাট পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ রায়ের পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমর সাহাকে, আর উপপুরপ্রধান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগের মতোই পদে থাকছেন।

    পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এই বদল করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।”

    অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সৈকত চ্যাটার্জি। আগের চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে সরিয়ে তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান করা হল। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলেন সন্দীপ মাহাতো। তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অনন্তদেব অধিকারী। ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন মনোজ রায়। এবার অনন্তদেব অধিকারীকে সরিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান করা হল মনোজ রায়কে।

    পাশাপাশি ময়নাগুড়ি পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমেশ সান্যালকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হল। অন্যদিকে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছে উৎপল ভাদুড়ি এবং  ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলন ছেত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। 

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “যারা নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তাঁরাও দলের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন।”
  • Link to this news (আজকাল)