প্রদ্যুত্ দাস: এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া খড়িয়া পঞ্চায়েতের জগন্নাথ কলোনি এলাকায় নরেন্দ্রনাথ রায় নামে বছর ষাটের এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআরের নথি সংক্রান্ত আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও স্ত্রীর নাম নেই। এনিয়ে তাঁর আতঙ্ক দানা বাঁধে। তার পরই এই ঘটনা।
আত্মঘাতী ওই বৃদ্ধের নাম নরেন্দ্র নাথ রায়(৬০)। পেশায় ভ্যানচালক। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ এর তালিকায় তার নাম থাকলেও ছিল না তার স্ত্রী বিনোদিনী রায়ের নাম। আর এতেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন ধরে সারাক্ষণ এবার কী হবে, কী হবে- এনিয়েই চর্চা করতেন। তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মেয়েকেও বারবার বলতেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের মধ্যে ৩ বার তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে গিয়ে তার নাম আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করেন। বারবার সবাই মিলে ওঁকে বোঝালেও তিনি সবকিছু শুনতেন। কিন্তু পরক্ষণেই আবার অন্য কারোর কাছে গিয়ে SIR সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতেন। আজ সকালেও তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর কাছে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, তৃণমূল এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। SIR নিয়ে সহজ বিষয়টিকে কঠিন করে মানুষকে বোঝাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির। এসআইআর সম্পর্কে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভালো করে জেনে তারপর কথা বলুন বলে কটাক্ষ করে বিজেপি।
অন্যদিকে, ধুপগুড়ির বারোঘরিয়া অঞ্চলে মারা গিয়েছেন কালুরাম বর্মন (৭০) নামে এক ব্যক্তি। বিএলও বাড়িতে আসতেই অসুস্থ হয়ে মারা যান ওই ব্যক্তি। এমনটাই দাবি পরিবারের।
বিজেপির দাবি, গত দুবছর ধরে অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ঈশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা ঠিক যে, বি এল ও যখন ওই বাড়িতে ছিলেন, তখনই মৃত্যু হয় কালুরাম বর্মন নামে ওই ব্যক্তির। তবে এর সঙ্গে এস আই আরের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ব্যক্তি অনেক আগে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি। ভোটার তালিকায় নাম ছিল না তাঁর।