সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দে মাতরম গানের সঙ্গে দেশভাগকে জড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইতিমধ্যেই বিজেপি মুখপাত্র সি আর কেশবন দাবি করেছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলিকে খুশি করতে বন্দে মাতরম গানের অনেকটা অংশ ছেঁটে ফেলেছে কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতেই মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বন্দে মাতরমে কাঁচি চালানোর জন্যই পরবর্তীতে দেশভাগ হয়েছে।
বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “১৯৩৭ সালে বন্দে মাতরমের বেশ কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়। সেই পদক্ষেপের জেরে আঘাত লাগে জাতীয় স্তোত্রের আদর্শে। বন্দে মাতরমের গুরুত্ব লঘু হয়ে যায়। গানের পংক্তি ছেঁটে ফেলার মধ্যেই লুকিয়েছিল দেশভাগের বীজ।” দেশবাসীকে মোদির সতর্কবার্তা, “এরকম বিভাজনমূলক মানসিকতা এখনও রয়ে গিয়েছে। সেটা আমাদের দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।” অর্থাৎ কংগ্রেসের নাম মুখে না আনলেও আদতে হাত শিবিরকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদির এই মন্তব্যের আগেই বিজেপি মুখপাত্র কেশবন দাবি করেন, ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের সম্মেলনে বন্দে মাতরম পার্টির সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়। কিন্তু পুরো গানটা নয়, বেশ কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেয় কংগ্রেস। পুরনো চিঠির ছবি তুলে ধরে কেশবনের দাবি, জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন যে বন্দে মাতরমের পুরো গানে অসন্তুষ্ট হতে পারে মুসলিমরা। বিজেপি মুখপাত্রের কথায়, নেহরুর হিন্দুবিরোধী মানসিকতা এখন রয়েছে রাহুল গান্ধীর মধ্যেও।
বন্দে মাতরম নিয়ে কেন্দ্র তথা বিজেপির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে অবশ্য অন্য অঙ্ক দেখছে রাজনৈতিক মহল। মাসচারেক পরেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলার ভোটযুদ্ধে এবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে হাতিয়ার করছে বিজেপি! বন্দে মাতরমের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে উদযাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। একই পদক্ষেপ করছে বিজেপিও। জানা গিয়েছে, বন্দে মাতরমের পাশাপাশি বিরসা মুন্ডার জন্মেরও ১৫০ বছর পালন করবে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ বাংলার আইকনদের হাতিয়ার করেই ভোট বৈতরণী পেরতে চাইছে বিজেপি। কংগ্রেসকে তুলোধোনার পাশাপাশি বাঙালি অস্মিতাতেও শান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।