• পাঁচ শতাংশ ভোট বাড়লেই সরকার বদলায় বিহারে, এবার বাড়ল ৮.৫ শতাংশ, কী হবে ফলাফল?
    প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬৪.৬ শতাংশ! ইতিহাস বলছে এর আগে কোনওদিন বিহারে এই হারে ভোট পড়েনি। এর আগে ২০০০ সালে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ। এবার সেই হারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বিহার। রাজনৈতিক দলগুলি অঙ্ক কষতে ব্যস্ত, বাড়তি ভোটের হারে লাভটা কার? শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই নিজেদের সাফল্য দাবি করছে। কিন্তু অতীত কী বলছে? বিহারে অতীতে এই হারে ভোটবৃদ্ধি হলে লাভ কাদের হয়?

    ইতিহাস বলছে এর আগে যতবার ৫ শতাংশের বেশি ভোট বেড়েছে, প্রতিবারই সরকার বদল হয়েছে বিহারে। ১৯৬৭ সালে ভোট বেড়েছিল ৭ শতাংশ। ৪৪.৫% থেকে সেবার ভোট বেড়ে হয় ৫১.৫% শতাংশ। সেবার প্রথমবার কংগ্রেস হেরে প্রথম অকংগ্রেসি জোট সরকার গঠন হয়। ১৯৮০ সালে ভোটের হার ৫০.৫% থেকে বেড়ে হয় ৫৭.৩%। সেবারও ভোট বৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশ। ক্ষমতা ফিরে পায় কংগ্রেস। ১৯৯০ সালে ৫৬.৩% থেকে ভোট বেড়ে হয় ৬২% শতাংশ। সেবার কংগ্রেসকে বিদায় দিয়ে প্রথমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন লালুপ্রসাদ যাদব।

    এবার ভোটের হার বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ভোটের এই বাড়তি হার বদলের ইঙ্গিত কি? ভোট বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কোনও রাজ্যে ভোটের হার বাড়ার অর্থ সেই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইছে। যদিও এই তত্ত্ব সবক্ষেত্রে ধ্রুব সত্যি ধরে নেওয়া যায় না। তবে বিহারের বিরোধীদের দাবি, এই ভোটের হারেই স্পষ্ট এনডিএর বিদায় এবার আসন্ন। বিহারের ভোট বিশেষজ্ঞরাও বলেন, ভোটের হার যত বেশি, পরিবর্তনের হাওয়া তত জোরাল।

    এনডিএ শিবির অবশ্য প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার তত্ত্ব মানতে নারাজ। শাসক শিবির বলছে, বিহারের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এই ভোটের হার। এটা প্রতিষ্ঠানের পক্ষের হাওয়া। মানুষের আস্থা এনডিএর উপর অটুট, আরও একটা তত্ত্ব অবশ্য আছে। সেটা হল, ভোটের হারের এই বৃদ্ধির নেপথ্যে SIR। ভোট বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা ভোট শতাংশের হার বাড়িয়ে দেয়। বিহারেও তাই হয়েছে। এসবের মধ্যে ভুলে গেলে চলবে না, বিহারের অর্ধেক আসনে ভোট কিন্তু এখনও বাকি। ফলে ভোটের যে হার নিয়ে এত কাটাছেড়া হচ্ছে, সেটা বদলে যেতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)