চিকেনস নেক-এ নিরাপত্তায় নজর, সিকিমে আরও এক নতুন রেলপথের অনুমোদন রেলের
প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি : চিকেনস নেক-এর নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে, সমতলের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তের পাহাড়ি এলাকা দ্রুত রেলপথে জুড়ে ফেলতে বাড়তি উদ্যোগ রেলমন্ত্রকের। সেভক থেকে রংপো রেল প্রকল্পের কাজ ২০২৭ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে সিকিমে আরও এক নতুন রেলপথের অনুমোদন দিল ভারতীয় রেল।
মেল্লি থেকে জোরথাং, লেগশিপ হয়ে ডেন্টাম পর্যন্ত রেললাইন বিছিয়ে ফেলতে সমীক্ষার অনুমোদন মিলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ওই সমীক্ষার কাজ করবে। এজন্য খরচ হবে দু’কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। প্রস্তাবিত রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। সেবক-রংপোর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে প্রস্তাবিত রেলপথ। ফলে একদিকে যেমন চিন সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়বে। অন্যদিকে খুব সহজে সিকিমের আরও ভিতরে পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ভীষণ পছন্দের জায়গা সিকিম। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ দেশ-বিদেশের পর্যটক ভিড় করেন ছোট্টো পাহাড়ি রাজ্যে। সিকিম পৌঁছতে এত দিন ভরসা ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কপথ। পাকিয়ং বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা শুরু হলেও আবহাওয়ার কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। স্বভাবতই নিউ জলপাইগুড়ি আথবা বাগডোগরা থেকে গাড়িতে যেতে হয় সিকিমে। ভূমিধসে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলে ভোগান্তি চরমে ওঠে। ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। এজন্য সময় বেশি লাগে। এবার ট্রেনেই সোজা পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে সিকিমে। তবে রেলপথে সমতলের সঙ্গে সিকিম জুড়লে পর্যটকদের চেয়েও বেশি উপকৃত হবে সামরিক বাহিনী।
ডেন্টাম হল ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে প্রত্যন্ত এলাকা। ওই এলাকায় রেল পরিষেবা চালু হলে ভবিষ্যতে এই পথে নেপালেও রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে। এদিকে মেল্লি দক্ষিণ এবং পশ্চিম সিকিম যাওয়ার প্রবেশপথ। সেখান থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেবক-রংপো রেল প্রকল্প ২০২৭ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর থেকে মেল্লি থেকে জোরথাং, লেগশিপ হয়ে ডেন্টাম রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।