২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতির! প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা
প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
শেখর চন্দ, আসানসোল: স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতিরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়! আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রুদ্র, তাঁর বাবা প্রয়াত চণ্ডীদাস রুদ্র, মা ঝর্ণা রুদ্রর নাম নেই ওই তালিকায়। অথচ তাঁরা ২০০২-এ ভোট দিয়েছিলেন। ভোটার কার্ডও ছিল। এখন কেন বাদ? অশোকের অভিযোগ, তাঁর দাদু সতীশ রুদ্র স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। অশোকের দাবি, তাঁদের জন্মভিটে সব এখানেই। তাঁরা রোহিঙ্গা নন, বাংলাদেশিও নন। তারপরও ২০০২ সালের তালিকা থেকে নাম উধাও। অর্থাৎ এই তালিকা ত্রুটিমুক্ত নয়। অথচ ত্রুটিপূর্ণ ২০০২-এর ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন এসআইআরে (SIR in Bengal) নেমেছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন। এটাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা।
অশোক তৃণমূলের রাজ্য কার্যকরি কমিটির সদস্য তথা কাউন্সিলর। একদা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। দলের যুব সংগঠনের ও শিক্ষাসেলের রাজ্য নেতাও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অশোকের কথায়, তাঁর কাছে পাসপোর্ট আছে। তাঁর বাবার রেলের চাকরির সার্টিফিকেট রয়েছে। জন্ম সার্টিফিকেট রয়েছে। মায়ের বয়স ৮১ বছর। বাবা বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৮৭ বছর। এই বয়সে তাঁরা কোথায় ডকুমেন্ট জোগাড় করবেন? তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। তাই এগুলো তিনি জোগাড় করে জমা দিয়ে দেবেন। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ একই সমস্যা, তাঁরা কোথায় যাবেন? এই প্রশ্ন করেছেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “কাউন্সিলর অশোক রুদ্র এবং তাঁর পরিবারের নাম ২০০২-এর ভোটার লিস্টে নেই। কেন নেই? ওটা উনি ভালো বলতে পারবেন। ভোটার লিস্ট তৈরি করা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। ভোটার লিস্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশন তৈরি করে। ২০০২-এ উনি বামপন্থী ছিলেন, বামপন্থীদের ধজাবাহক ছিলেন। রেল কলোনিতে থাকতেন সেই সময়। কেন সেই সময় তাঁর নামটা নেই, সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন। আর নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী যে ১২টি ডকুমেন্ট লাগবে, সে ১২টি ডকুমেন্টের যেকোনও একটি ডকুমেন্ট জমা দিলেই ভোটার লিস্টে নাম নথিভুক্ত হবে।