তেহট্টে গুরুকন্যাকে পাচারের অভিযোগ শিষ্যের বিরুদ্ধে, অভিযুক্তকে আটকে রেখে মারধর
প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: গুরুর মেয়ে পাচারের অভিযোগ উঠল শিষ্যর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার রাতভর আটকে রাখে নিখোঁজ মহিলার পরিবার ও স্থানীয়রা। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুক্রবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে মহিলার ছেলে ১২দিন পর তল্লাশি চালিয়ে কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্টে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।
নিখোঁজ মহিলার নাম মণিকা রায়। বয়স ৪৫। তিনি বেতাইয়ের উলুপাড়ার বাসিন্দা। মণিকা ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। মহিলার এক কিশোর ছেলেও রয়েছে। বাড়ির লোক এলাকায় তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তখন জানা যায়, শ্যাম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মণিকাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ এই শ্যাম মণ্ডলই মহিলাকে পাচার করে দিয়েছেন। মণিকার বাবা ভঞ্জন রায় শ্যামকে নিজের শিষ্য বানিয়েছিলেন। ভঞ্জন রায় বলেন, “শ্যামকে আমি শিষ্য ছেলে বানিয়েছি। ও আমার মেয়েকে পাচার করেছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”
তবে অভিযুক্ত শ্যাম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ওকে কিছু করিনি। কোথাও নিয়ে যায়নি। তবে ফোনে কথা হয়েছে। আমি বলেছি ঝামেলা হচ্ছে ফিরে আসতে। ও ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে।” এই খবর পাওয়ার পরই শ্যামকে উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপর তেহট্ট থানা ও কৃষ্ণগঞ্জ থানা অভিযোগ চালিয়ে মহিলাকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহিলার ছেলে কৃষ্ণ রায়।