• FIR দায়েরে ‘বেনিয়ম’, সোনারপুরে শুল্ক আধিকারিককে ‘মারে’ পুলিশকে ‘ভর্ৎসনা’ হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: সোনারপুরে শুল্ক আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। তাঁর দাবি, ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সময় কোনো আইনই মানেনি পুলিশ। শুক্রবার বিচারপতি সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে FIR দায়ের করে দিলেন? সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিক অনুসন্ধান করেছিলেন? ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী শুল্ক আধিকারিককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কিনা, সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি। তবে একটি প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। 

    গত মাসে গাড়িতে ধাক্কা লাগা নিয়ে সোনারপুরের ওই শুল্ক আধিকারিকের সঙ্গে অটোচালকদের বচসা বাঁধে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর তা সাময়িকভাবে মিটে যায়। আবাসনে চলে যান আধিকারিক। অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ পর ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী শুল্ক আধিকারিকের আবাসনের বাইরে জড়ো হয়। দরজা ভেঙে আবাসনের ভিতরে ঢোকে তারা। কার্যত তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, ওই শুল্ক আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথা ফেটে যায় তাঁর। আধিকারিকের স্ত্রীকেও হেনস্তা করা হয় বলেই অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় শুষ্ক দপ্তরের আধিকারিককে কল্যাণী এইমসে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়।

    এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রুত শুরু হয়। ঘটনার পরদিনই অটোচালক আজাদ আলি মণ্ডল, সুরজ আলি মণ্ডল এবং অলোক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আদালতে জামিন পেয়ে যান তারা। এফআইআরে নাম না থাকায় তাঁরা বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান। জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। শুক্রবার হাই কোর্টে সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)