• ২০০২-এর তালিকায় নিজের নাম থাকলেও স্ত্রী’র নাম নেই, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার জলপাইগুড়ির বাসিন্দার
    এই সময় | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজের নাম আছে ২০০২-এর ভোটার তালিকায়। কিন্তু নাম নেই স্ত্রীর। আতঙ্কে ভুগছিলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ রায় (৬০)। শুক্রবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। SIR আতঙ্কেই তিনি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।

    জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ। পেশায় তিনি ভ্যানচালক। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের নাম দেখলেও তাঁর স্ত্রী মিনতি রায়ের নাম না দেখে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। SIR হবে এটা জানার পরে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র।

    নরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়ন্তী বর্মন বলেন, ‘ভোটার তালিকায় বাবার নাম থাকলেও মায়ের নাম ছিল না। এটা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তার পাশাপাশি পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারেন বলেও আতঙ্কে ভুগছিলেন। তার উপরে বিভিন্ন ব্যক্তি বাবাকে বুঝিয়েছেন তালিকায় নাম না থাকলে নাকি বাংলাদেশ পাঠিয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই চিন্তা আরও বাড়তে থাকে।’ মেয়ের দাবি, আরও এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নরেন্দ্রনাথের। তাঁরও নাম পাওয়া যায়নি ২০০২-এর ভোটার তালিকায়।

    নরেন্দ্রনাথের স্ত্রী মিনতি রায় বলেন, ‘আমি অনেকদিন থেকেই ভোট দিচ্ছি। কিন্তু তার পরেও ২০০২ এর তালিকায় নাম আমার নাম নেই। এটা নিয়ে স্বামী চিন্তিত ছিল। বাড়িতেও আলোচনা করলে তাঁকে বোঝানো হতো। কিন্তু তার পরেও চিন্তায় বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন।’

    একের পর এক জেলায় SIR আতঙ্কে মৃত্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শোভন রায় বলেন, ‘তালিকায় স্ত্রীর নাম না থাকা নিয়ে তিনি আতঙ্কে ছিলেন। আমার সঙ্গে আলোচনাও করতেন। ওঁকে ভরসা দেওয়ার পরেও এই ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন।’

  • Link to this news (এই সময়)