• ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতি তথা তৃণমূল নেতার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে বার বার সরব হয়েছে বিরোধী দল-সহ তৃণমূল কংগ্রেস। এতো কম সময়ে এসআইআর প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব নয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ মিলল আসানসোলের ভোটার তালিকায়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতির। আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রুদ্র, তাঁর বাবা প্রয়াত চণ্ডীদাস রুদ্র এবং মা ঝর্ণা রুদ্রর নাম নেই ওই তালিকায়। অথচ ২০০২ সালে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো ভোটার কার্ডও ছিল তাঁদের।

    ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। তাঁর দাদু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ রুদ্র। অশোকের দাবি, তাঁদের জন্মভিটে সব এখানেই। তাঁরা রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি কোনোটাই নন। তাহলে কেন ২০০২ সালের তালিকা থেকে নাম উধাও হয়ে গেছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন আসানসোলের কাউন্সিলর। তালিকা ত্রুটিমুক্ত নয় বলেও অভিযোগ অশোকের। ত্রুটিপূর্ণ ২০০২-এর ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন এসআইআরের কাজ করছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। ষড়যন্ত্র বলেও তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা।

    অশোক তৃণমূলের রাজ্য কার্যকরি কমিটির সদস্য তথা কাউন্সিলর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। দলের যুব সংগঠনের ও শিক্ষাসেলের রাজ্য নেতাও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অশোক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে পাসপোর্ট আছে। তাঁর বাবার রেলের চাকরির সার্টিফিকেট রয়েছে। জন্ম সার্টিফিকেট রয়েছে। মায়ের বয়স ৮১ বছর। বাবা বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৮৭ বছর। এই বয়সে তাঁরা কোথায় ডকুমেন্ট জোগাড় করবেন প্রশ্ন তুলেছেন কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকায় তথ্য জোগাড় করা তাঁর কাছে সহজ। তাই তিনি জমা দিয়ে দেবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ধরনের সমস্যায় পড়লে তাঁরা কী করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, ‘কাউন্সিলর অশোক রুদ্র এবং তাঁর পরিবারের নাম ২০০২-এর ভোটার তালিকায় কেন নেই, সে বিষয়ে উনি ভালো বলতে পারবেন। ভোটার তালিকা কোনও রাজনৈতিক দল তৈরি করে না। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরি করে। ২০০২-এ উনি বামপন্থী ছিলেন।  রেল কলোনিতে থাকতেন। কেন সেই সময় তাঁর নাম নেই, সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন। আর নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী ১২টি ডকুমেন্টের যে কোনও একটি ডকুমেন্ট জমা দিলেই ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হবে।‘
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)