রণজয় সিংহ: ভোটার লিস্টে বাবার নাম ভুল। এসআইআর আতঙ্কে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে হাসপাতালে মন্ত্রীসহ তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর বুথের ঘটনা।
মহেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা রাজেশ আলী এদিন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় তারপর অবস্থা অবনতি দেখে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজেশ।
পরিবারের লোকের অভিযোগ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রাজেশের বাবার নাম ছিল আদিল। কিন্তু বর্তমান তালিকায় তার বাবার নাম ভুল এসেছে। যার কারণে আতঙ্কে ভুগছিল সে। সেই আতঙ্ক থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা। নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছে পরিবার।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করার তৃণমূল। চক্রান্তের অভিযোগ করে তৃণমূল।
অন্যদিকে, এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া খড়িয়া পঞ্চায়েতের জগন্নাথ কলোনি এলাকায় নরেন্দ্রনাথ রায় নামে বছর ষাটের এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআরের নথি সংক্রান্ত আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও স্ত্রীর নাম নেই। এনিয়ে তাঁর আতঙ্ক দানা বাঁধে। তার পরই এই ঘটনা।
আত্মঘাতী ওই বৃদ্ধের নাম নরেন্দ্র নাথ রায়(৬০)। পেশায় ভ্যানচালক। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ এর তালিকায় তার নাম থাকলেও ছিল না তার স্ত্রী বিনোদিনী রায়ের নাম। আর এতেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন ধরে সারাক্ষণ এবার কী হবে, কী হবে- এনিয়েই চর্চা করতেন। তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মেয়েকেও বারবার বলতেন।