• আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! 'প্রতিবাদী' ডেপুটি সুপারকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • অয়ন শর্মা: সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আগেই। কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা ডেপুটি সুপার আখতার আলি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডেপুটি সুপারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এবার আরজি করের ঘটনায় তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলীকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আর জি করের ডেপুটি সুপার থাকাকালীন কর্তব্যে অবহেলা, বিভিন্ন জিনিস কেনায় অপরিমিত দুর্নীতি,  নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেআইনিভাবে বিমানে করে ঘুরতে যাওয়া-সহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

    দুর্নীতির অভিযোগে সরব হতেই সরকারি প্রতিহিংসার অভিযোগ ওঠে। একের পর এক বদলির অভিযোগও উঠেছে। আখতার আলির অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আকতার আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ......

    ১. ২০০৭ সাল থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে আকতার আলীর বিরুদ্ধে, হাসপাতালের একাধিক সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি করেছেন তিনি এবং তা থেকে লাভবান হয়েছেন। 

    ২. সরকারি, সুবিধায় একাধিকবার বিমানে ভ্রমণ করেছেন পরিবারকে নিয়ে।


    ২. এম এস লেকট্র্নিক্স নামে একটি সংস্থাকে ভয় দেখিয়ে, নিজের স্ত্রীর একাউন্টে 50000 টাকা ট্রান্সফার করিয়েছেন। 


    ৩. ২০২০ থেকে ২২ সালে ,cynosure solution নামে ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবর্তে ওই সংস্থাকে ৪.১৪ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেন।

    স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ সাসপেনশনে থাকাকালীন এলাকা ছেড়ে যেতে পারবেন না তিনি।

    আমি বিজেপিতে যোগদান করা এই ধরনের, এই ধরনের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে। আমি তো চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্তু আমার ফাইল একসেপ্ট করেনি।

    আখতার আলির এই বিষয়ে বক্তব্য --

    'আমার মতন একজন আধিকারিকের প্রতি এটি সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক আচরণ। স্বাস্থ্য ভবনের অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আমার বিরুদ্ধে এরকম প্রতিহিংসামূলক আচরণ।আমি চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলাম বারবার করে। আমি আদালতের দ্বারস্থ হব। আমার চরিত্র কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে'।

    প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে বদলিও হতে হয়েছিল, বলে এর আগে দাবি করেন তিনি। গত অগাস্ট মাসে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন তিনি। তিনি দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলা ও আইনি পথে যাওয়ার খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, শাসক তাঁকে রাজ্য সরকার বিরোধী মনে করে সারা রাজ্য ঘোরাচ্ছে, বদলি করছে, বন্ধ করে দিয়েছে মাইনেও, তিনি পেনশনও পাবেন না! 'তাহলে কি ওদের জোরটা শুধু আখতার আলির উপরেই? ওদের আর কোথাও দুর্নীতির উপর কোনও জোর নেই। একটা সবুজ ছাপ লাগলেই সাত খুন মাফ ! আমাকে কী করবে, খুব বেশি হলে শেষ করে দেবে, মেরে ফেলবে, বাংলার মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আজকেও বলছি গভীর দুর্নীতি আছে এটার মধ্যে। আখতার আলি খান অতীন ঘোষের সিকিউরিটি ছিল, পার্সোনাল সিকিউরিটি। তাকে উনি সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে মিলে আরজি করে নিয়োগ করলেন যাতে তোলাবাজি করা যায়..কীভাবে ও তোলাবাজি করেছে...২২ লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে ঘুরত।'

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)