নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ! মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উস্তিতে গ্রেপ্তার ‘গুণধর’ বাবা
প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নিজের নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধেই! ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে। ঘটনাটি জানার পর ওই নাবালিকার মা নিজেই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ দায়েরের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রামে হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দেউলার এলাকায়। বাড়ি ফিরে নাবালিকা ওই কন্যাকে ঘরে একা বসে কাঁদতে দেখেছিলেন তার মা। মেয়ের কান্না দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। জানতে চেয়ে জোরাজুরি করলে শেষপর্যন্ত মেয়ে সব কথা বলে মাকে জানায়। জানা যায়, নাবালিকা কন্যাকে একা পেয়ে তার নিজের বাবা ধর্ষণ করে! প্রায় দুই বছর ধরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু বললে ফল ভালো হবে না, মেয়েকে সেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল! ফলে মেয়ে মুখবন্ধ করে রাখে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর এই ‘অত্যাচার’ সহ্য করতে পারেনি।
মা সব কথা জানার পর সব কিছু চেপে যাননি। নিজেই উস্তি থানায় পৌঁছে যান। স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। দ্রুত গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রাম থেকেই ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতা নাবালিকার ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে বলে খবর। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নির্যাতিতার মা ও প্রতিবেশীরা ওই ব্যক্তির কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন।
ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানান, নাবালিকার মা বিষয়টি জানার পর ডায়মন্ডহারবার মহিলা থানা ও উস্তি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে দুই থানার পুলিশ। মহিলা থানার ওসি ডলি ঝা দুবে ও উস্তি থানার আইসি আবুল মারজান ডায়মন্ডহারবার থানার আইসি অমরজিৎ বিশ্বাসের সহযোগিতায় তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করে নিগৃহীতা ওই নাবালিকার বাবা পেশায় দর্জি আশাদুল শেখকে। আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।