‘ষড়যন্ত্রের শিকার’, অন্তরাল থেকে বেরিয়ে স্বমেজাজে রাজগঞ্জের ‘দাবাং’ বিডিও
প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। না হলে সোনা চোরেদের পক্ষে সওয়াল করে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে কেন? অন্তরাল থেকে বেরিয়ে দাবি রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অপহরণ, খুনের মতো অভিযোগে জড়িয়ে দিনকয়েক ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিলেন রাজগঞ্জ ব্লকের ‘দাবাং’ বিডিও প্রশান্ত বর্মন। ব্লক জুড়ে এসআইআরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চললেও অফিসেও আসেননি তিনি। নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আড়ালে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই বিডিও প্রশান্ত বর্মন শুক্রবার যেন স্বমহিমায়।
নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে পুরনো মেজাজে মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের।বললেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে। এই নিয়ে আগেই ফোনে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের দ্বারা তাঁর দাবাং ইমেজ নষ্ট করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান প্রশান্ত বর্মন। এদিনও তিনি দাবি করেন, তাঁর কোনও বাড়ি নেই। ফ্ল্যাট নেই। তিনি কলকাতায় যাননি। স্বাভাবিকভাবেই সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, যে সোনা চুরি করল, সোনা গলাল তাঁর পরিবারই। আজ বড় গলায় কথা বলছে। আর ওদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিডিও। একই সঙ্গে বিডিওর দাবি, তাঁর কোনও সোনা চুরি যায়নি।
গত দু’দিন ধরে অফিসে যাননি বলে অভিযোগ উঠলেও বিডিও প্রশান্ত বর্মনের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে না গেলেও অফিসের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন। তার অফিস চত্বরে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। বিডিও জানান, ভোটার কার্ড উদ্ধারের খবর শোনার পরেই জয়েন্ট বিডিওকে তদন্ত করতে বলেছেন। বিডিও প্রশান্ত বর্মনের দাবি, কাজের নিরিখে জেলার অন্যান্য ব্লকের তুলনায় রাজগঞ্জ ব্লক অনেক এগিয়ে। কাজের ক্ষেত্রে তিনি আপস করতে নারাজ।ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। অনৈতিক কাজ বন্ধ করেছেন। মিডিয়াই একদিন দাবাং বিডিও বলে আখ্যা দিয়েছে তাকে। সেই দাবাং ইমেজ ভাঙার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এর পিছনে অনেকেই যুক্ত বলে ইঙ্গিত করেন তিনি। এদিন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে সোনা ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার তদন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর। বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানান, কমিশনারেট থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তদন্তে সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।