• ছেলের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, ইস্তফার দাবি ঘিরে চাপে অজিত পাওয়ার
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • মুম্বই: নিয়ম লঙ্ঘন করে ৪০ একর সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ। ৩০০ কোটির এই জমি চুক্তি কেলেঙ্কারি ঘিরে বেকায়দায় মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি সরকার। কারণ, অভিযোগের তির স্বয়ং উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ছেলে পার্থ ও তাঁর বাণিজ্যিক সংস্থার দিকে। প্রবল চাপের মুখে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের ইস্তফার দাবি তুলছে বিরোধী শিবির। শুক্রবার এই ইশ্যুতে মহারাষ্ট্রের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মুণ্ডপাত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর তোপ, ‘মহারাষ্ট্রে দলিতদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি মাত্র ৩০০ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে মন্ত্রিপুত্রের সংস্থাকে। শুধু তাই নয়, স্ট্যাম্প ডিউটিও মকুব করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শুধু চুরিই হয়নি, সেই চুরির উপর আইনি সিলমোহরও দেওয়া হয়েছে। ভোট চুরি করে তৈরি হওয়া সরকার জমি চুরি করেছে। ওরা জানে, যতই লুট করুক না কেন, ভোট চুরি করে ফের ক্ষমতায় ফিরবে।’পুনের এই জমি কাণ্ডে বিতর্কের জেরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফড়নবিশ বলেছেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ গুরুতর বলেই মনে হচ্ছে। 

    যদিও ফাঁপরে পড়ে ছেলে পার্থ ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এই বিষয়ে তাঁর কোনও যোগ নেই বলে সাফাইও দিয়েছেন তিনি। বিরোধারা পদত্যাগের দাবিতে সরব হওয়ায় শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়বিশের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অজিত পাওয়ার। যদিও দু’জনের কী কথা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ির সম্মিলিত আক্রমণের মুখে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি সরকার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। একজন সাব-রেজিস্টারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (শুল্ক) বিকাশ খাড়্গের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার নতুন করে দায়ের হয়েছে আরও একটি এফআইআর। এই এফআইআরগুলিতে নাম রয়েছে সাসপেন্ড হওয়া রেভিনিউ অফিসার সূর্যকান্ত ইয়েওয়ালে, শীতল তেজওয়ানির পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে পার্থ পাওয়ারের ব্যবসায়িক সহযোগী দিগ্বিজয় পাতিলের। যদিও অজিত-পুত্র পার্থর নাম সেখানে না থাকায় সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। শিবসেনা (ইউবিটি) নেত্রী সুষমা আন্ধারের অভিযোগ, জমি দুর্নীতির এই মামলা থেকে পার্থ পাওয়ারকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে শুল্ক দপ্তর ও পুলিশ।
  • Link to this news (বর্তমান)