• মেয়ের জন্য স্বপ্নাদেবী রাঁধলেন নিরামিষ সবজি, ডাল, পনির
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: দু’দিন আগেই সেজে উঠেছিল সুভাষপল্লির ঘোষ বাড়ি। আলোরমালা, নানারকমের বাহারি ফুলে গোটা-বাড়ি সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সোনার মেয়ে বাড়ি ফিরবে বলে কথা। মা স্বপ্না ঘোষ মেয়ের প্রিয় খাবার ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন দিয়ে আপ্যায়ন করার জন্য তৈরি ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এমনটাই ঠিক ছিল। 

    স্বপ্নাদেবী বলেন, রিচা রাতে ফোন করে আমাকে জানায় স্বাস্থ্যের কারণে সে এখন ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন এসব খাবে না। তারজন্য হালকা রান্না করার অনুরোধ করে। এই ফোন পেতেই ভাবতে থাকেন তাহলে কি খাওয়াবেন? এতদিন পরে বাড়িতে ফিরছে মেয়েটা। তিনি বলেন, সবকিছু ভেবে ঠিক করি, মিক্সড ভেজিটেবল, ডাল, পনির, চাটনি ও ভাজা দিয়ে মেয়েকে আপ্যায়ন করবেন। সেটাই এদিন রান্না করেন। 

    এই রান্না করার জন্যই এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে মেয়েকে আনতে যেতে পারনেনি তিনি। প্রত্যেকবার রিচা খেলে বাড়ি ফিরলে বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ ও মা স্বপ্নাদেবী বিমানবন্দরে হাজির থেকেছেন। এদিন সকালের বিমানে রিচার আসার কথা ছিল। তাই রান্না করার জন্য বিমানবন্দরে যাননি তিনি। এবার বিশ্বকাপ জয় করে আসার মুহূর্তে এবারই প্রথম ছন্দপতন ঘটল। তবে এরজন্য আক্ষেপ নেই মায়ের। তিনি বলেন, রিচার খেলার জন্য যেটা জরুরি সেটাই প্রাধান্য দিতে হবে। 

     এদিন দোতলায় ওঠা সিঁড়ির মুখেই রিচার প্রয়াত ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার বড় ছবি রাখা হয়েছিল। রিচা বাড়িতে ঢুকতেই তাঁর মা পুষ্প বৃষ্টি এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বরণ করে নেন সোনার মেয়েকে। তারপর রিচা এগিয়ে যান ঘরের দিকে। যাওয়ার পথে প্রয়াত ঠাকুরদা, ঠাকুমার ছবি প্রণাম করে সিঁড়িতে ওঠেন। 

    এদিকে, এদিন সকাল থেকে সুভাষপল্লির হাতিমোড়ে ভিড় জমতে শুরু করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। তাদের হাতে ছিল রিচার ছবি, প্ল্যাকার্ড। রিচা আসতেই ব্যান্ডপার্টিতে বেজেছে দেশাত্মবোধক গানের সুর। সবদিক দিয়েই একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আর রিচা আগে যেখানে প্র্যাকটিস করতেন সেই বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাব সন্ধ্যায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল সকাল থেকে। রিচা খুব অল্প সময়ের জন্যই বাড়িতে এসেছেন। শনিবার সকালে ফিরে যাবেন কলকাতায়। সিএবি’র সংবর্ধনা নিয়ে রাতেই ধরবেন দিল্লির উড়ান।   
  • Link to this news (বর্তমান)