• বিজেপি বিএলএ-২’কে জুতোর মালা কাণ্ডে ধৃত ৩
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাট খাটেরবাড়িতে বিএলএ-২’কে জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল ফটিক দাস, সুজন দাস ও খইমালা দাস। তিনজন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত। শুক্রবার তিনজনকেই মাথাভাঙা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও তাদের জামিন হয়ে যায়। 

    ওই ঘটনায় এদিনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। এদিন আদালতে যাওয়ার সময়ে খইমালা দাস দাবি করেন, বিজেপি বিএলএ-২ নিবাস দাস নিজেই জুতোর মালা গলায় পরেছিলেন। যেখানে এ ধরনের ঘটনা হয়েছে সেখানে সিসি ক্যামেরা আছে। সেই ভিডিও ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করুক। গোটা ঘটনায় কোচবিহার জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায় এসআইআরের কাজে বিএলওর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন বিজেপির বিএলএ-২ নিবাস দাস। তাঁকে মারধর করা সহ জুতোর মালা গলায় পরানো হয়। ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। নিবাস দাসের অভিযোগ,খইমালা দাস তাঁর গলায় জোর করে জুতোর মালা পরিয়েছে। এনিয়ে নিবাসবাবু বৃহস্পতিবারই মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও তৃণমূল প্রথম থেকে ঘটনার কথা অস্বীকার করে এসেছে। তৃণমূলের দাবি, নিবাস দাস নিজেই এ ধরনের কাণ্ড করে প্রচারে আসতে চাইছেন। যদিও ওই ঘটনার পর আসরে নামে বিজেপি। মাথাভাঙার মহকুমা শাসক সুশোভন মণ্ডলের কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় তারা। অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

    এ ব্যাপারে পচাগড় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, মিথ্যা অভিযোগে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক, ভয় দেখানোর পর এখন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। আমরা এসবের জবাব রাজনৈতিকভাবে দেব। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করায় আমরা খুশি। তৃণমূল ভীত হয়ে এ ধরনের আচরণ করছে। এলাকার মানুষের সামনে নিবাস দাসকে হেনস্তা ও জুতোর মালা পরানো হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি আমরা। 

    মাথাভাঙার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, জুতোর মালা কাণ্ডে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাথাভাঙা থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, ধৃতদের এদিন মহকুমা আদালতে তোলা হলে সকলেরই জামিন হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)