• চেয়ারম্যান পদ যাওয়ায় এবার কাউন্সিলার পদে ইস্তফার হুঙ্কার অনন্তর
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: কাউন্সিলারের পদ থেকে আমি ইস্তফা দেব। আমি একজন সিনিয়র নেতা। আমি এতদিন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন কি আমি পিছনের সিটে বসব? এটাতো আত্মসম্মানের বিষয়। শুক্রবার নিজের বাড়িতে বসে এমনটাই হুঙ্কার দিলেন ময়নাগুড়ি পুরসভার সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী। 

    বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পদে পরিবর্তন করা হয়। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান মনোজ রায়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে ঝুলন সান্যালকে। চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয় ময়নাগুড়ি ব্লকের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অনন্তদেব অধিকারীকে। এই ঘটনা যে তাঁর আত্মসম্মানে লেগেছে তা অনন্তবাবু স্বীকার করেছেন। 

    অনন্তদেববাবু কলেজ জীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি আরএসপি দলের বিধায়ক ছিলেন ২০১১ সালে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ময়নাগুড়িতে উপ নির্বাচন হলে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে দল তাঁকে টিকিট দেয়। সেবারও তিনি জয়ী হন। ২০২২ সালে রা‌জ্য সরকার ময়নাগুড়ি গ্রামীণ এলাকাকে পুরসভায় রূপান্তরিত করে। ময়নাগুড়ি পুরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হন অনন্তদেব অধিকারী। 

    অনন্তবাবু বলেন, কেউ আমাকে কাকা, কেউ জ্যাঠা, কেউ দাদা বলে ডাকেন। আমি একজন বয়স্ক ব্যক্তি। কী কারণে আমাকে সরানো হলো সেটা কিছুতেই মাথায় আসছে না। তবে পার্টি অফিসে যাব। সকলের সঙ্গে কথা বলব। দল যে দায়িত্ব দেবে সেটা পালন করব। আমি ২০১১ সালে বিধায়ক থাকাকালীন পদত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলাম। ২০১৪ সালে উপ নির্বাচনে জয়ী হই। ২০১৬ সালে টিকিট পাই সেবারও জয়ী হয়েছিলাম। তবে দলবদল করার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই বষীয়ান নেতা । 

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, অনন্তদেববাবু একজন সিনিয়র ব্যক্তি। দলের সম্পদ। আমি ওঁর সঙ্গে আমি কথা বলব।
  • Link to this news (বর্তমান)