• আইফোনের টোপ দিয়ে সুন্দরীদের যুক্ত করছে কোচবিহারের মাদক গ্যাং
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: কোচবিহারের মাদক পাচার গ্যাংয়ের নজরে সুন্দরী তরুণীরা। কাউকে আইফোন, আবার কাউকে দামি সামগ্রী কিনে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়োগ করছে। কোচবিহার থেকে বর্ধমান বা কলকাতায় গাঁজা পাচারের কাজে তাদের লাগানো হচ্ছে। পুলিশ ও আরপিএফের চোখে ধুলো দিতেই তারা এই কৌশল নিয়েছে। সুন্দরীদের এলিট ক্লাসের ট্রেনে এসি কামরায় টিকিট কেটে দিচ্ছে। তাদের কাজ স্রেফ ব্যাগ নিজেদের কব্জায় রাখা। নির্দিষ্ট ঠিকানায় তা পৌঁছে দিতে পারলেই মোটা টাকা কমিশন। নেহা দে এবং সোমা দে নামে দুই তরুণীকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করে আরপিএফ এমন তথ্য জানতে পেরেছে। তাদের উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি কোচ থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। নেহা জানিয়েছে, আইফোন কেনার লোভেই সে এই কাজ করেছে। গাঁজা কোচবিহার থেকে বর্ধমানে পৌঁছে দিতে পারলেই ১০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। কয়েকবার কাজ করলেই আইফোন কেনা কোনও বড় বিষয় নয়।

    ক্যারিয়ারদের নামের তালিকা তদন্তকারীদের কাছে থাকে। যারা দাগী ক্যারিয়ার, তাদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু নতুন ক্যারিয়ার নিয়োগ করলে তাদের ধরতে বেগ পেতে হয়। সোর্স লাগিয়ে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। ধৃতরা এই কারবারে নতুন। একটা টেকনিকাল ভুলের কারণে তারা আরপিএফের জালে জড়িয়ে যায়। এক আধিকারিক বলেন, দক্ষিণবঙ্গে কোচবিহারের গাঁজার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজ্যে ওড়িশা থেকেও গাঁজা আসে। তবে, তার দাম তুলনামূলকভাবে কম। কোচবিহারের গাঁজা দক্ষিণবঙ্গে পাঠিয়ে মোটা টাকা ফায়দা তোলে। একটি চেন সিস্টেমে গাঁজা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। ক্যারিয়াররা চক্রের মাস্টামাইন্ডের নাম জানতে পারে না। তাদের নিয়োগ করে আলাদা লোক। ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গাঁজা ভর্তি ব্যাগ নিজেদের সিট থেকে কিছুটা দূরে রাখা হয়। কিন্তু সর্বক্ষণ সেদিকে নজর রাখার জন্য বলা হয়। পুলিশ ও আরপিএফ তাদের যাতে চিহ্নিত করতে না পারে, তার জন্য বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তারা কথা বলে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছিল। কিন্তু তারপরও ওই দুই তরুণীর মধ্যে একজন ভুল করে বসে। তার পরিণামেই তাদের শ্রীঘরে যেতে হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)