• বিশ্বজয়ী দলের সদস্য ফিরতেই উচ্ছ্বসিত জিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: রবিবার মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে তাদের। ভারতের মহিলা দলের বিশ্বজয়ে অংশীদার হয়েছেন দুই বঙ্গ সন্তান। একজন জাতীয় মহিলা দলের উইকেট কিপার শিলিগুড়ির রিচা ঘোষ এবং অপরজন ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট শচীন মণ্ডল। তিনি জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ছাত্র। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চেপে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জিয়াগঞ্জ স্টেশনে নামেন শচীন। বিশ্বজয়ী টিমের সদস্য শচীনকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। শচীন ট্রেন থেকে নামতেই ফুলের মালা পরিয়ে, তোড়া হাতে দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর তাঁকে হুডখোলা গাড়িতে সারা শহর পরিক্রমা করিয়ে জিয়াগঞ্জ থানার চণ্ডীপুরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মিষ্টিমুখ করান জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ, তৃণমূলের জিয়াগঞ্জ টাউন সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। 

    শচীন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছাত্র। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার ভাকুড়ি বোয়ালিয়া ডাঙায়। তাঁর বাবা সুশান্তকুমার মণ্ডল একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। মা কনিকা মণ্ডল গৃহবধূ এবং ভাই সুকান্ত মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ব্যাপক ঝোঁক ছিল। প্রথমে বহরমপুরের একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন। মাস ছয়েক পর জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে আসেন। এই অ্যাকাডেমি থেকেই শচীনের উত্থান। কালকাতার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে সিএবির অনূর্ধ্ব ১৮ প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ডিভিশনে মিসার্স ক্লাবের হয়ে এক বছর খেলেছিলেন। ক্রিকেট চুটিয়ে খেললেও তাঁর মন পড়েছিল কোচিংয়ে। ২০২০ সালে বেঙ্গালুরুতে ভেলোসিটি মহিলা ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ হিসেবে যোগ দেন। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। গত চার বছর ধরে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম কোচিং স্টাফ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, পুরুষ ক্রিকেট দল তিনবার বিশ্বজয় করলেও মহিলা দল এই প্রথম। আর এই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তিনদিনের ছুটিতে এসেছি। তারপর সিওইতে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু পাড়ি দেব। তাঁর বাবা সুশান্তকুমার মণ্ডল বলেন, কর্মজীবনে দেশের সেবা করেছি। ছেলে দেশকে বিশ্বসেরার খেতাব এনে দিতে একটু হলেও সাহায্য করেছে। আজ আমি একজন গর্বিত পিতা। অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক বিধানকুমার সরকার বলেন, আমার হাতে গড়া শচীন বিশ্বজয় করে ফিরেছে, এটা ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, আমরা শচীনের আরও সাফল্য কামনা করছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)