• ২০০২’এ ভিন রাজ্যের ভোটার এখন আবাসনের বাসিন্দা, ফর্মে কী লিখব?
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরতলিজুড়ে এখন নতুন নতুন আবাসন মাথা তুলেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু ভোটার সেখানে ফ্ল্যাট কিনে উঠে আসছেন। এই ধরনের ভোটারদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কার্যত হাঁপিয়ে উঠছেন বিএলওরা। কেউ বলছেন, ‘ফ্ল্যাটে থাকি না। আমার ফর্মটা রেখে দেবেন প্লিজ!’ কেউ আবার বলছেন, ‘চাকরি পেয়ে বাইরে চলে এসেছি। কলকাতায় গিয়ে ফর্ম নেব।’ অনেকেই ভিন রাজ্যের ভোটার ছিলেন। স্বভাবতই তাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। তাঁদের কী হবে? শহরতলির এক বিএলও বলছেন, ‘এমন অনেক কিছু প্রশ্নের উত্তর আমিও জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করে তাঁদের বলার চেষ্টা করছি।’ এক বিএলওর কথায়, ‘অনেকেই ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, ২০০২ সালে অন্য রাজ্যের বাসিন্দা ছিলাম। তালিকায় নাম নেই। আমি কী করব?’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিএলও বলেন, ‘তাঁদের বলছি, ওই অংশ ফাঁকা রেখে ফর্ম পূরণ করতে। হয়তো তাঁদের হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে। সেগুলো তো আমরাও স্পষ্টভাবে বলতেও পারছি না।’ অনেকেই আবার নতুন করে নাম তুলতে চাইছেন বা নামের বানান বদলাতে চাইছেন। ‘সেই প্রশ্নও আসছে। কিন্তু এখন তো ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হয়েছে’—জানাচ্ছেন বিএলও। সব মিলিয়ে সারাদিন ফোন ফোনে জেরবার হতে হচ্ছে তাঁদের। তবে ওই বিএলও’র কথায়, ‘ফর্মের উপরেই তো আমাদের নাম-ফোন নম্বর লেখা আছে। সেটাই তো আমাদের কাজ।’ এতসব প্রশ্নের মাঝে এসএফআই, আইসা, এআইএসএফ, পিএসইউ ও এআইএসবি— এই পাঁচ বাম ছাত্র সংগঠন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে। মোট ন’টি দাবি রেখেছে তারা। বাইরে থাকা শ্রমিক, বন্যা কবলিত এলাকার ভোটারদের অধিকার রক্ষা সহ একাধিক দাবিতে  ওই চিঠি বলে জানা গিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)