নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এসআইআরের গাইডলাইনে লেখাটা স্পষ্ট—বিএলও নিজে ছাড়া আর কেউ ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করতে পারবেন না। এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েই পৌঁছে দিতে হবে এই ফর্ম। কিন্তু বাংলায় এসআইআর শুরুর পর থেকেই নানাবিধ অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছে। কখনও শোনা যাচ্ছে, বিএলও’র স্বামী তাঁর হয়ে ফর্ম বিলি করছেন। আবার কখনও অভিযোগ আসছে, কমিউনিটি হল, ক্লাব, এমনকি চায়ের দোকান থেকেও নাকি বিতরণ হচ্ছে ইনিউমারেশন ফর্ম। আর লাগাতার এই অভিযোগের জেরেই কঠোর অবস্থান নিল পশ্চিমবঙ্গ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস। প্রত্যেক জেলাশাসক বা ডিইওকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র বাড়ি বাড়ি গিয়েই ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করতে হবে বিএলওদের। এবং বিএলও অন্য কাউকে ফর্ম বিলির কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নির্দেশের পরেও যদি কমিশনের গাইডলাইন না মেনে কাজ করার ঘটনা ঘটে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসবের মধ্যেই শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৩ কোটি ৪ লক্ষ ইনিউমারেশন ফর্ম বিতরণ হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ফর্ম বিতরণ এবং সংগ্রহ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় কমিশন। তাঁদের মাথাব্যথা সংগ্রহ করা ফর্মের ডিজিটাইজেশন, যা শেষ করতে হবে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই। কারণ, বিএলওকেই তাঁদের নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করতে হবে। যদিও এই বিএলও অ্যাপ নিয়েই কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া চিঠিতে তাদের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় রক্তের সম্পর্কের কারও নাম থাকলেই তা গণ্য হবে। তা বোঝাতে কাকার নাম থাকার উদাহরণও দিয়েছিলেন জ্ঞানেশ কুমার। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের দাবি, বিএলও অ্যাপে শুধু ছেলে, মেয়ে, ঠাকুমা এবং ঠাকুরদার নামই এন্ট্রি করা যাচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সই করা চিঠিতে জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য এবং বাস্তবের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা মেটানোর দাবি জানানো হয়েছে।