• ‘ভাঙার অর্ডারের পরে রেগুলারাইজড! তবে কি অফিসার টাকা নিয়েছেন?’ নির্মাণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মেয়রের
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোর্ট অর্ডার খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু, যে অফিসার বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অর্ডার দিয়েছেন, কয়েকদিন পরেই তিনি কীভাবে সেটা ‘রেগুলারাইজড’ করে দিচ্ছেন। তাহলে কেন ভাঙার অর্ডার আগে দিলেন? তাহলে কি সেই অফিসার টাকা খেয়েছেন! শুক্রবার, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিল্ডিং বিভাগের ভূমিকায় এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 

    কেন সেই অফিসারকে শো-কজ করা হবে না, বিল্ডিং বিভাগের ডিজির কাছে তা জানতে চান মেয়র। পাশাপাশি, এই কেসের ফাইল তিনি পুর কমিশনারকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এদিনই দুর্নীতির অভিযোগে পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের এক অফিসার পার্থ চোংদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে, মেয়রের এমন আশঙ্কা বা অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    এদিন, কালিকাপুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণের একটি অভিযোগ আছে। অভিযোগকারী মেয়রকে জানান, একটি ঠিকানায় বিল্ডিংয়ের তলায় বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। দোকান তৈরি করা হয়েছে অবৈধভাবে। পুরসভার তরফে ভাঙার অর্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর কয়েকমাসের মধ্যে আচমকা সেটা ‘রেগুলারাইজড’ হয়ে যাচ্ছে। সামনে বসে থাকা বিল্ডিং বিভাগের ডিজির কাছে বিশদে জানতে চান মেয়র। জানা যায়, পুরসভা ভাঙার অর্ডার করার পর সেই নির্মাণকারী আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার নিয়ে আসেন। আদালত বিষয়টি বরো এগজিকিউটিভকে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই তিনি ওই অবৈধ নির্মাণ জরিমানার ভিত্তিতে বৈধ করে দেন। সেটা শুনেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। 

    মেয়র বলেন, এভাবে তো আদালতের কাছে আমাদের মুখ পুড়ল, পুরসভার প্রেস্টিজ খারাপ হল! যে এগজিকিউটিভ বলেছিলেন ভাঙতে হবে, তিনিই আবার রেগুলারাইজড করে দিচ্ছেন! কেন তাঁকে শো-কোজ করেননি? জিডিকে বলেন ময়ের। ফিরহাদ হাকিমের সংযোজন, হাইকোর্ট কখনও বেআইনি নির্মাণের ‘শিল্ড’ (ঢাল) হতে পারে না। এমন ক্ষেত্রে আমাদের হাইকোর্টকে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে ডিভিশন বেঞ্চে, দরকারে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে। কিন্তু যে জিনিসটা রেগুলারাইজড করে দেওয়া যায়, তার জন্য কেন ভাঙার অর্ডার আগে দেওয়া হল? তাহলে তো বুঝতে হবে, সেই অফিসার পরে টাকা নিয়েছেন। কমিশনারকে ওই ফাইল খতিয়ে দেখতে বলেন মেয়র।

    পরে সংবাদমাধ্যমে মেয়র বলেন, একটি বিল্ডিংয়ের তলায় গ্যারাজের জায়গায় দোকান বানানো হয়েছিল। সেটা নিয়েই গন্ডগোল।
  • Link to this news (বর্তমান)