অবৈধভাবে ভারতে এসে সাইবার আর্থিক প্রতারণা চক্র পরিচালনা, ধৃত ৪ বাংলাদেশী সহ মোট ৭
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে রমরমিয়ে চলছিল সাইবার আর্থিক প্রতারণা চক্র। মুর্শিদাবাদে বসে এই সাইবার প্রতারণা চক্র পরিচালনা করছিলেন কিছু অনুপ্রবেশকারী এবং কিছু ভারতীয় নাগরিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদ
সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায় বড়ঞা থানার মোনাই কান্দরা গ্রামে। পুলিশী অভিযানে হাতে নাতে গ্রেপ্তার হনঅবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী চার বাংলাদেশি এবং তিন ভারতীয়। ধৃত তিন ভারতীয়, সোনারুল শেখ, ফিরোজ শেখ এবং মহম্মদ আরিফ খা বড়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত চার অনুপ্রবেশকারী মিনহাজ শেখ, সিপদ শেখ, সান শেখ এবং রবি শেখ বাংলাদেশের ঢাকা এবং যশোর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১২১টি এ টি এম কার্ড, ১৩টি মোবাইল, দুটি অত্যাধুনিক ল্যাপটপ, ৪৬টি সিম কার্ড এবং নগদদু’লক্ষ টাকা । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়।শুক্রবার ধৃত সাতজনকে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ
জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কতদিন ধরে এই সাইবার প্রতারণা চক্রটি পরিচালনা করছিল ধৃত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা, এই বাংলাদেশীরা কবে থেকে ভারতে রয়েছেন, ইতিমধ্যে মোট কত জনের কাছ থেকে কত টাকা প্রতারণা করা হয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলি। তবে প্রাথমিকভাবে
পুলিশ জানতে পেরেছে, এই পুরো চক্রের মূলচক্রী হচ্ছেন ধৃত বড়ঞার তিন বাসিন্দা। তাঁরাই নিজেদের এবং আত্মীয়দের নামে একাধিক ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে এটিএম কার্ডগুলি সংগ্রহ করেছেন এবং অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের সাহায্যে দিনের পর দিন আর্থিক প্রতারণা চক্রটি চালিয়ে
এসেছেন। তবে এতগুলো এটিএম কার্ড তাঁরাকীভাবে জোগাড় করলেন, তা চিন্তায় ফেলেছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। সমস্ত এটিএম কার্ড কাদের কাদের নামে কোন কোন ব্যাঙ্কে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এই এটিএম কার্ডগুলি যে আর্থিক প্রতারণার কাজেই ধৃতরা ব্যবহার করেছেন, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত | ধৃত বাংলাদেশীদের নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং এটিএম কার্ড রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে তারা।