‘সহপাঠীরা উত্ত্যক্ত করত, তাই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে’, জয়পুরে বালিকা-মৃত্যুতে দাবি অভিভাবকদের
প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে জয়পুরে। নিজের স্কুলেরই বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। সিসিটিভি ফুটেজেও এই দৃশ্য ধরা পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছে ওই বালিকা। কিন্তু কেন সে এমন সিদ্ধান্ত নিল? এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন মৃতা বালিকার অভিভাবকরা।
কী জানিয়েছেন তাঁরা? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা দাবি করেছেন, সহপাঠীরা তাকে নিয়মিত উত্যক্ত করত। এই নিয়ে বারবার (অন্তত চারবার) অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এমনকী, ঘটনার দিনও মেয়েটি অভিযোগ করেছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এতে কান দেননি। আর তাই অভিমানে তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয় বলেই দাবি তাঁদের।
বালিকার মা শিবাণী বলেছেন, ”মেয়ে আমার কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছিল যে ক্লাসে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। কিছু ছেলে তাকের সঙ্গে অসভ্যতা করত। অন্য ছেলের সঙ্গে নাম জুড়ে দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। আমি এই বিষয়ে শিক্ষকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টিতে পাত্তা দেননি।”
মেয়েটির বাবা বিজয় জানাচ্ছেন, ”একবার শিক্ষক-অভিভাবক মিটিংয়ে আমি দেখতে পাই একটি ছেলে আমার মেয়েকে ইশারা করছে। শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে একথাও বলি। কিন্তু উনি পাত্তা দেননি।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি বারান্দার রেলিংয়ে গিয়ে বসছে। আর তারপরই সে পড়ে যাচ্ছে সেখান থেকে। জানা যাচ্ছে, মেয়েটি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পুলিশ অফিসাররা মেয়েটির স্কুল নীরজা মোদি স্কুলে পৌঁছে দেখতে পান ঘটনাস্থলে রক্তের ছিটেফোঁটাও নেই। সব মুছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে মৃত বালিকার পরিবার। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক।