প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে বিহারে। রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের হার দেখা গিয়েছে প্রথম দফাতেই। তার লাভ কোন শিবির পাবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। আগামী মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তার আগে বিরোধী শিবিরকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শনিবার বিহারের সীতামারিতে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে মোদীর নিশানায় ছিল আরজেডি। বিহারের জঙ্গলরাজ প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদী বলেন, ‘তাঁরা (আরজেডি) নিজের সন্তানদের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং বিধায়ক বানাতে চান। কিন্তু আপনাদের সন্তানদেরকে তাঁরা গুন্ডা তৈরি করবেন। বিহার কখনই এটা মেনে নেবে না। জঙ্গলরাজ মানে পিস্তল, নিষ্ঠুরতা, দুর্নীতি এবং শত্রুতা।’
বক্তৃতার মাঝেই মোদী একটি ভাইরাল ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করেন। যে ভিডিয়োতে আরজেডির সভামঞ্চে একটি দশ বছরের শিশুকে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। সমস্তিপুরের সভা মঞ্চ থেকে ওই শিশুকে বলতে শোনা যায়, ‘তেজস্বী ভাইয়া, আপনি ক্ষমতায় ফিরুন। আমরা কাট্টা (দেশি পিস্তল) নিয়ে ঘুরতে পারব।’ এই ভিডিয়ো শেয়ার করে আগেই সরব হয়েছিলেন বিহারের বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিন মোদী বলেন, ‘আপনি যদি আরজেডির প্রচার এবং স্লোগান শোনেন, তা হলে আপনার বুকে কাঁপুনি হবে। আরজেডি বিহারের শিশুদের জন্য যা করতে চায়, তা ওদের নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। আরজেডির মঞ্চে নিষ্পাপ শিশুদের এই কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেই শিশুরা বলছে যে তারা গুন্ডা হতে চায়।’
লালু জমানায় ‘জঙ্গলরাজ’-এর অভিযোগ তুলে ধরে এর আগেও একাধিকবার আরজেডিকে আক্রমণ করেছেন মোদী। সেই জঙ্গলরাজ-এর অবসান ঘটিয়েই নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার বিহারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বলে এ দিন দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘এনডিএ যখন তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটার এবং খেলার সরঞ্জাম সরবরাহ করছে, তখন আরজেডি তাদের পিস্তল দেওয়ার কথা বলছে।’
পাল্টা বিহার কংগ্রেসের সভাপতি অজয় রাই বলেন, ‘বিজেপি ও জেডিইউয়ের জোট সরকার বিহারে জঙ্গলরাজ তৈরি করেছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ খুন হচ্ছে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি বাড়িতে মদ পাওয়া যাচ্ছে। সরকার জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে। আসলে বিহার সরকার দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’