• ফর্ম বিলির ঘোষণা মসজিদের মাইকে, BLA-তেও প্রক্সি
    এই সময় | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, দুর্গাপুর : মসজিদের মাইকে হঠাৎ ঘোষণা— ‘তাড়াতাড়ি মসজিদের সামনে সবাই চলে আসুন। এনিউমারেশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে।’ শুক্রবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বুদবুদ থানার চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রামে। অভিযোগ উঠেছে এখানকার ১০১ নম্বর বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও বর্ণালী পাঁজার বিরুদ্ধে। এ দিন সকালে স্থানীয় মসজিদের কাছে একটি জায়গায় বসে ভোটারদের এনিউমারেশন ফর্ম দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বসির আলি কাজি ও অন্যান্য তৃণমূল কর্মী।

    বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। জেলা বিজেপি সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, ‘আমরা বিডিও অফিসে ইমেল করে অভিযোগ করেছি।’ গলসি–১ নম্বর ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল বলেন, ‘ইমেল মারফত একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে।’

    ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়ার কথা। মসজিদের সামনে থেকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে কেন? বিএলও বর্ণালীর বক্তব্য, ‘আমি ভোটারদের নাম বুঝতে পারছিলাম না। তাই ওই মসজিদের সামনে বসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিচ্ছিলাম।’ গ্রামবাসীরা অবশ্য অন্য কথাই বলছেন। গ্রামের এক বাসিন্দা কাজি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে মাঠে চাষের কাজ করছিলাম। সেই সময়ে মসজিদ থেকে উপপ্রধান ঘোষণা করেন, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসে ফর্ম নিয়ে যেতে হবে।’ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর বক্তব্য, ‘এটা যদি হয়ে থাকে তা হলে অন্যায় হয়েছে। ভোটারদের বাড়িতে গিয়েই ফর্ম দেওয়ার নিয়ম।’

    আবার দুর্গাপুরে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দাপল্লির ২৬২ নম্বর বুথ এলাকায় দেখা যায়, সিপিএমের যে বিএলএ, তাঁর জায়গায় অন্য এক সিপিএম কর্মী এনিউমারেশড় ফর্ম বিলির কাজ করছেন। প্রতিবাদ জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। চাপে পড়ে এলাকা ছাড়েন ওই সিপিএম কর্মী। বিএলও সুদীপ রায় বলেন, ‘যাঁর নাম রয়েছে তাঁকেই বিএলএর কাজ করতে হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)