• আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে মৃতার নথি চাইতেই উধাও পরিবারের সদস্যরা, অনুপ্রবেশ নিয়ে সন্দেহ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এরপর বাড়ির সদস্যদের কাছে মৃতার নথিপত্র চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নথি চাইতেই উধাও হয়ে যায় মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের মর্গেই পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। ওই মহিলা কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী উঠছে প্রশ্ন।

    বুধবার অর্থাৎ ৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন ওই রোগী। নাম সঞ্জিতা বিবি। বয়স ৪২ বছর। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ওই রোগী দমনপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। জাবেদ আলি নামে পরিবারের অন্য এক সদস্যের নাম নথিভুক্ত করা হয়। হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন স্লিপে সেই তথ্যই লেখা রয়েছে। ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরও রেজিস্ট্রেশনে রয়েছে।

    ৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সঞ্জিতা বিবি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেট লেখার জন্য মহিলার পরিচয় জানতে চাইলে পরিবারের লোকজন উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নথিভুক্ত মোবাইলে নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও কোনও উত্তর মেলেনি। শুধু তাই নয়,  মহিলার বিষয়ে কেউ খোঁজ করতেও আসেনি বলে খবর। ফলে মৃতদেহ এই মুহূর্তে দাবিদারহীন বলে মর্গে পড়ে রয়েছে।

    জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল জানিয়েছেন, ’হার্ট অ্যাটাকে ওই মহিলা অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা সবরকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির জন্য আমরা আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সাধারণত চাই। সেই নথি চাওয়ার পরেই হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকেরা উধাও হয়ে যান। তারপর আর তাঁদের পাওয়া দেনি। কিন্তু দু’দিন ওই মহিলার সঙ্গে একজন পুরুষ হাসপাতালে ছিলেন। নথি চাইতেই তিনি উধাও হয়ে যান। আমরা দাবিদারহীন মৃতদেহ বলে মৃতদেহ মর্গে রেখে দিয়েছি। পরিবার চাইলে মৃতদেহ নিতে আসতে পারেন।‘  বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হবে বলে খবর।

    এই ঘটনার পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মৃত মহিলার কি কোনও পরিচয়পত্র নেই? মহিলার সঙ্গে যে পুরুষ সঙ্গী ছিলেন, তিনি কি ওঁর আত্মীয় নন? নাকি ওই মহিলা অনুপ্রবেশকারী? প্রশ্ন একাধিক হলেও উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)