• SIR-আতঙ্কে হাসপাতালে স্ত্রীর দেহ ফেলে পালাল স্বয়ং স্বামী! ফোন বন্ধ, ঠিকানা ধরে বাড়ি গিয়ে দেখা গেল...ভয়ংকর...অবিশ্বাস্য...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • তপন দেব: স্যর (SIR)-কাণ্ডে ভয়ংকর কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) । ভোটার বা আধার কার্ড না দেখিয়ে মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে চম্পট দিল পরিবারের লোকজনের। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar District Hospital)।

    সঞ্জিদা বিবির মৃত্যু


     


    আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার ড. পরিতোষ মণ্ডল এ বিষয়ে জানান, গত ৫ নভেম্বর সকালে সঞ্জিদা বিবি হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীর অভিভাবক হিসাবে স্বামী জাভেদ আলি তাঁকে ভর্তি করান। ঠিকানা দেন দমনপুর, ফোন নম্বর দিয়েছিলেন-- ৯২১১৫৩৮০৭৪ । ৬ নভেম্বরের রাতে সঞ্জিদা বিবি মারা যান। 

    ঠিকানা না রেখে

    মৃত্যুর পরে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য মৃতের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড লাগবে। সেটা চাইতে ফোন করা হয়। ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের বাড়িতে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের উক্ত ঠিকানায় পাওয়া যায় না। আসলে সেটি কোনও ঠিকানাই নয়। পুরোটাই ভুয়ো বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। 

    মোবাইল সুইচড অফ 

    বহু ক্ষণ অপেক্ষার পরেও মৃতের বাড়ির কেউ আসেন না। তাঁরা না আসায় ফের ফোন করা হয়। দেখা যায় ফোন সুইচড অফ। পরের দিন সকালে ফোন করা হয়। ধরেন মৃতের পরিবারের কেউ। তিনি জানান, তাঁরা দেহ নেবেন না। কথা বলেই সঙ্গে সঙ্গে ফের পোন সুইচড অফ করা হয়। 

    ৭-১৪ দিন পরে সৎকার

    সব চেয়ে বড় কথা ঠিকানা অনুযায়ী তাঁদের কোনও হদিশও পাওয়া যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে, এসআইআর-এর এই আবহে এঁদের কাছে কোনও পরিচয় পত্র না থাকায় পরিবারের লোক অন্যত্র কোথাও গা ঢাকা দিয়েছেন। মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ৭-১৪ দিন পরে নিয়ম মেনে পরিচয়হীনদেহ হিসেবে এর সৎকার করা হবে বলে জানান হাসপাতাল সুপার। 

    SIR-উদ্বেগে অভিষেক

    প্রসঙ্গত, বাংলায় চলছে SIR-উদ্বেগ। আর এই আবহে SIR-আতঙ্কে মৃতদের বাড়িতে বাড়িতে যাবে তৃণমূল। এজন্য বিশেষ দল গঠন করে দিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। জানা গিয়েছে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তৃণমূল এই সব পরিবারকে। অভিষেকের গড়ে দেওয়া সেই টিমের অন্তর্ভুক্ত নেতৃত্ববর্গ স্যর-উদ্বেগে মৃত বলে দাবি-করা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিতে যাবেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

    আজ থেকেই বাড়ি-বাড়ি 

    জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার থেকেই এই টিমের নেতৃত্ববর্গ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিতে যাবেন। প্রথম দিনে সেই সব পরিবারে যাওয়া হবে যাঁরা স্যর আতঙ্কে মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন। প্রদীপ করের পরিবারে যাবেন সমীরুল ইসলাম ও পার্থ ভৌমিক। বিকেল ৫টা নাগাদ। টিটাগড়ে যাবেন ড. শশী পাঁজা ও সুদীপ রাহা। বিকেল ৪টে নাগাদ। ডানকুনিতে যাবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুদীপ রাহা। আজ বিকেলেই। হুগলিতে যাবেন জয়া দত্ত, সঙ্গে থাকবেন স্থানীয় নেতৃত্ব। উলুবেড়িয়ায় যাবেন অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গেও থাকবেন স্থানীয় নেতৃত্ববর্গ।

    বাংলায় SIR-মৃত্যু

    বাংলায় SIR শুরু হতেই , এসআইআর আতঙ্কে শুরু হয়েছে 'মৃত্যুমিছিল'। আগরপাড়া, কোচবিহার, ডানকুনি, দীঘা, উলুবেড়িয়া, কান্দি, বহরমপুর, ইলামবাজারের পরে সেই তালিকায় যোগ হয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়া,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির নামও । 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)