• বড় প্রশ্ন! রাজ্য ও দেশের বাইরের ভোটাররা কি বাদ পড়ে যাবেন SIR থেকে? কী হবে তাঁদের? কী বলছে কমিশন...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • অয়ন ঘোষাল: ৪ তারিখ থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে SIR। BLO-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে আসছেন (SIR in Bengal)। এখনও পর্যন্ত মোটের ওপর রাজ্যে প্রায় নির্বিঘ্নেই চলছে এই ফর্ম ফিল-আপের কাজ (Bengal SIR)। গতকাল রাত ৮ টা পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩ কোটি ৪০ হাজার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই কোনও কোনও BLO ফিল-আপ করা ফর্ম জমা নিতে শুরু করবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যাঁরা বাইরে আছেন, কাজের জন্য কেউ হয়তো রাজ্যের বাইরে, কেউবা হয়তো দেশেরও বাইরে, সেইসব ভোটাররা কী করবেন? নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) এক্ষেত্রে জানিয়েছে... 

    যাঁরা এই মুহূর্তে দেশের বাইরে বা রাজ্যের বাইরে থাকেন অথবা যাঁরা ভোটার লিস্টে প্রদত্ত ঠিকানায় এই মুহূর্তে নেই অর্থাৎ কর্মসূত্রে বা অন্য সূত্রে বাইরে আছেন, তাঁরা অনলাইনে এই এনুমারেশন ফর্ম ফিল-আপ করতে পারবেন (Online Enumeration Form Fillup)। তবে একাধিক জায়গা থেকে এই গণনা ফর্ম ফিল-আপ করা যাবে না। তাতে বাতিল হতে পারে ফর্ম।

    এর পাশাপাশি, একই বুথে ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত কিন্তু বর্তমানে কর্মসূত্রে বাইরে থাকা পরিবারের সদস্যদের গণনা ফর্ম পরিবারের কেউ ফিল-আপ করতে পারেন। পরিবারের যে কেউ-ই অনুপস্থিত সদস্যদের গণনা ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। তবে তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকতে হবে। থাকতে হবে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। যিনি ফর্ম ফিলআপ করছেন, তাঁকে সেই অনুযায়ী ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে। পরবর্তীতে ভোটার সম্পর্কে যেকোনও প্রশ্নের উত্তর দিতেও তিনি বাধ্য থাকবেন।

    উল্লেখ্য, কোনও কোনও পার্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফর্ম এখনও ছেপে আসেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুথ পিছু গড়ে ৩০০ ফর্ম এসেছে। এখন এক-একটি বুথে গড়ে ১১০০ থেকে ১২০০ ভোটার আছেন। আগামী সপ্তাহে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফর্ম এলে গোটা বুথ কভার করা সম্ভব হবে জানাচ্ছেন BLO-রা। ওদিকে নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে ফর্ম-৬ এবং মৃত ভোটারের ক্ষেত্রে ফর্ম-৭ এখনও সব BLO হাতে পাননি। ফলে সংশ্লিষ্ট কেসগুলিতে BLO-দের অপেক্ষা করতে বলেছে কমিশন।

    এক-পাতার গণনা ফর্মটি দুটি ভাগে বিভক্ত। উপরের অংশে বর্তমান EPIC কার্ডের উপর ভিত্তি করে ভোটারের বিবরণ দিতে হবে। নীচের অংশটি আবার দুটি বাক্সে বিভক্ত। বাম দিকের বাক্স সেই ভোটারদের জন্য যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। ডান দিকের বাক্সটি সেই ভোটারদের জন্য যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। কিন্তু বাবা-মা বা ঠাকুরদা-ঠাকুরমার নাম আছে। এখন যার জন্য যেটি প্রযোজ্য, তিনি সেই নির্দিষ্ট বাক্সটি পূরণ করবেন। গণনা ফর্মে নীচের বাক্সগুলি পূরণ করার সময় সঠিক বানান, সম্পর্কের স্ট্যাটাস ও অন্যান্য তথ্য ২০০২ সালের তালিকায় ঠিক যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই রাখতে হবে।

    গণনার এই প্রক্রিয়া ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তারপর খসড়া তালিকা ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)