নান্টু হাজরা ও প্রদ্যুৎ দাস: নিউটাউনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২। গ্রেফতার বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়ির চালক রাজু ঢালী ও বিডিওর বন্ধু তুফান থাপা। রাজারহাট থেকে গ্রেফতার রাজু ঢালী। বিডিও প্রশান্ত বর্মন কলকাতায় এসে যে গাড়ি চড়তেন, সেই গাড়িরই ড্রাইভার রাজু ঢালী। আর উত্তরবঙ্গ থেকে গ্রেফতার পেশায় কন্ডাকটর, প্রশান্ত বর্মনের বন্ধু তুফান থাপা।
গ্রেফতারির পর ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিস ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। আদালত দুজনকেই ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিসের তরফে এদিন আদালতে সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার সঙ্গে বিডিও সরাসরি যুক্ত। ২৮ তারিখ রাত ৮টা ১৫ নাগাদ নীল বাতি লাগানো সাদা গাড়িতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে তোলা হয় নিউটাউনের বাড়ি থেকে। গাড়ি নিউটাউন নতুন ব্রিজ হয়ে যাত্রাগাছি দিয়ে বাগজোলা খালে পাড়ে পৌঁছয়। খাল পাড়ে স্বপন কামিল্যাকে ফেলে দিয়ে আবার ওই একই রাস্তা ধরে গাড়ি ফিরে যায়। এমনটাই খবর পুলিস সূত্রে। এদিন গাড়িচালক ও বন্ধুর গ্রেফতারির পর বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। যদিও বিডিও প্রশান্ত বর্মনের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতায় তাঁর কোনও বাড়ি নেই। কোনও সোনা চুরি যায়নি।
'দাবাং বিডিও' প্রশান্ত বর্মনের দাবি...
এলাকায় 'দাবাং বিডিও' নামে পরিচিত জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন গতকালই সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন,"আমার কোনও সোনা চুরি হয়নি। আমার কোনও বাড়ি নেই। আমি ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও চিনি না। চোরকেও চিনি না। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখা হোক। আমার যে তিনটি বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, কাগজপত্র দিয়ে তা দেখানো হোক।" আরও বলেন,"পুলিস আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি নিশ্চয়ই তদন্তে সহযোগিতা করব। কিন্তু পুলিস আমার কাছে কী জানতে চেয়েছে, তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে এই নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।"
আরও বলেন, "আমাকে মাটিতে নামানোর চক্রান্ত চলছে। কিন্তু সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। দাবাং বিডিও দাবাং-ই থাকবে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। কারা সেই চক্রান্ত করছে, সব জানি। সব চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাবে।" প্রসঙ্গত, বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নিউটাউনের বাড়ির কাজের লোকের বয়ানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেদিন তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল সেকথা বলেন তিনি। আরও বলেন, "যদি প্রশান্ত বর্মন মেরে থাকে, তবে তাঁর শাস্তি হোক। আমাদের থানার হাতে তুলে দেয়নি। উলটে প্রচুর মারে। সেই থেকে বিছানায়, ডাক্তার দেখাতেও পারিনি।"