• সক্রিয় তৃণমূল কর্মী নাকি বিজেপির বিএলএ! SIR আবহে অর্জুন-গড়ে নয়া ‘রাজনীতি’
    প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: এসআইআর নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। ২০০২ সালের পর ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন ব্লক লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তাঁদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিএলএ-রা। এরই মাঝে অদ্ভূত কাণ্ড ঘটল জগদ্দলে। সেখানের একটি বুথে বিজেপির বিএলএ-র জায়গায় লেখা হল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীর নাম। এহেন অভিনব অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়।

    জগদ্দলের আতপুরের বাসিন্দা নিখিল দাস এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। ২০১৯ সালের আগে তিনি গেরুয়া শিবিরের হয়ে কাজ করতেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসের আবহে নিখিল দাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে শাসকদলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত তিনি। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার অদ্ভূত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন নিখিলবাবু। তাঁর অভিযোগ, “স্থানীয় বিএলও ফোন করে বলেন, আমি নাকি বিজেপির বিএলএ। এদিকে আমি বিজেপি করিই না। ওদের মিটিং-মিছিলেও যাইনি। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলাম, আছি, থাকব। তারপরেও আমার নাম বিজেপির বিএলএ-র নামে কীভাবে গেল, বুঝলাম না।”

    শুক্রবারে জগদ্দল টাউন তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মালো বলেন, “নিখিল দাস খবর পেয়ে ভয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে। আসলে এটাই বাংলায় বিজেপির চিত্র। গোটা রাজ্যের সব বুথে বিজেপির এজেন্ট নেই। ওদের মানুষের কাছে বলার কোনও এজেন্ডাও নেই। তাই এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে।” যদিও জগদ্দলের বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে আবার ভয় দেখিয়ে মত বদলানোর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “নিখিল দাস নিজে থেকে নাম, ছবি দিয়েছেন। সাক্ষর করে জানিয়েছেন যে বিজেপির বিএলএ হবেন। এখন ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের ওঁকে দিয়ে একথা বলাচ্ছে।” যদিও সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতেই গেরুয়া শিবির এহেন মন্তব্য করছি বলেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)