জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এসআইআরের বিরুদ্ধে ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অনশন কর্মসূচি চলছে। সেই অনশন মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিন অনশনকারী। ইতিমধ্যেই তাঁদের স্যালাইন দেওয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। তবে অসুস্থরা অনশন চালিয়ে যাবেন বলেই জানানো হয়েছে। ২১ জন ওই মঞ্চে অনশন করছেন। আজ, শনিবার সেই অনশন কর্মসূচি চারদিনে পড়ল।
এসআইআরের প্রতিবাদে বুধবার থেকে ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের অনশন শুরু হয়েছে। প্রথমে ২৪ জন অনশন শুরু করেছিলেন বলে খবর। তবে পরে তিনজন শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনশন প্রত্যাহার করেছিলেন। গতকাল শুক্রবার থেকে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই মেডিক্যাল টিম রয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দেখা যায় তাঁদের রক্তচাপ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। এরপরেই তাঁদের স্যালাইন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অসুস্থরা অনশন প্রত্যাহার করে মঞ্চ ছাড়তে চাননি। সেজন্য সেই মঞ্চেই তাঁদের স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অসুস্থরা হলেন, নগেন মণ্ডল, নারায়ণ বারুই, ত্রিনাথ ঘরামি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসুস্থদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। একজনের শারীরিক অবস্থা বেশ কিছুটা খারাপ। তাঁর ওঠার অবস্থা নেই। অন্যান্যদের শরীরেও জলের পরিমাণ কমছে। তবে প্রত্যেকেই অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরের সামনে এই অনশন মঞ্চ করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক নরোত্তম বিশ্বাস এদিনও অনশন মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, নিঃস্বার্থভাবে যারা অনশন করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ভোটার। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় প্রত্যেকেরই নাম আছে। সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে এঁরা অনশন করছেন।
এসআইআর আবহে ঠাকুরবাড়িতে তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। হিন্দু শংসাপত্র বিলি নিয়ে চরম অসন্তোষ মতুয়া মহলে। অনেকেই ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে এসব সমস্যায় পড়ে বলছেন, ‘হিন্দু হওয়া সত্বেও ১০০ টাকা খরচ করে এদের থেকে হিন্দুর শংসাপত্র নিতে চাই না।’ এনিয়ে ঠাকুরবাড়ির বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।